বারাসত: তৃণমূল আমলে টলি পাড়ার অনেকেই নাম লিখিয়েছেন রাজনীতিতে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ছিল একগুচ্ছ তারকা চমক। তাঁদের মধ্যে অনেকেই জয়ী হয়ে সাংসদ বা বিধায়ক হয়েছেন। আর এই ময়দানের অন্যতম পুরনো সৈনিক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। টলিউডের এই অভিনেতা প্রথমবার ভোটে লড়েছিলেন ২০১১ সালে। পরপর তিনবারের বিধায়ক তিনি। আর এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে রাজনীতি ছাড়ার কথা বললেন তিনি। জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইতিমধ্য়ে একাধিকবার অনুরোধ করেছেন তিনি।
বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত সম্প্রতি এলাকার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। মঞ্চে দাঁড়িয়েই অভিনেতা বলেন, “যতবার আমি হাতজোড় করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলি, আমাকে ছেড়ে দিন, কেন জানি না উনি আমাকে ছাড়েন না। আমি বলেছি, এটা আমার কাজ নয়, আমি এই যুদ্ধের সেপাই নই।” উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারাও আমাকে বারবার ভোট দিয়ে জিতিয়ে দেন। তবে এবার আমি কথা দিচ্ছি, আর নয়, আমি এবার ছাড়ব।” সমর্থকরা দর্শকাসন থেকে চীৎকার শুরু করলে তিনি বলেন, “আমি আমেরিকায় মেয়ের কাছে গিয়ে বসে থাকব। আসবই না এখানে।” বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, ‘তবে ছাড়তে ইচ্ছে করে না। অন্তরটা রয়ে যায়। তাই আপনাদের কাছে বারবার ছুটে আসি। আর এলাকার উন্নয়ন তো চোখে পড়ছেই।’
কিছুদিন আগেই রাজনীতি ছাড়ার কথা শোনা গিয়েছিল ঘাটালের সাংসদ দেবের মুখে। দিল্লিতে লোকসভা অধিবেশনের শেষেই সংবাদমাধ্যমের সামনে রাজনীতি ছাড়ার কথা বলেছিলেন দেব। পরে কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর দেব বলেন, ‘আমি রাজনীতি ছাড়লেও, রাজনীতি আমাকে ছাড়ছে না।’ এরপরই ইস্তফাপত্র নিয়ে সোজা বিধানসভায় মমতার কাছে পৌঁছে যান মিমি চক্রবর্তী। তিনিও বলেছিলেন, ‘রাজনীতি আমার জন্য নয়।’ প্রশ্ন উঠছে শাসক দলের সঙ্গে তারকাদের দূরত্ব কি বাড়ছে?