ঘাসফুলে মুকুল ফিরতেই পিছুপিছু বাবু মাস্টার ও রতন, বিরোধিতায় পোস্টার এলাকায়

ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য রতন ঘোষ (Ratan Ghosh)। তিনি ফের বিজেপি ছেড়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূলমুখী হচ্ছেন মুকুল ঘনিষ্ঠ বাবু মাস্টারও (Babu Master)।

ঘাসফুলে মুকুল ফিরতেই পিছুপিছু বাবু মাস্টার ও রতন, বিরোধিতায় পোস্টার এলাকায়
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 13, 2021 | 5:16 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: মুকুল রায় (Mukur Roy) বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) ফেরার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ফের দলবদলুদের শিবির বদলের হিড়িক। ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য রতন ঘোষ (Ratan Ghosh)। তিনি ফের বিজেপি ছেড়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূলমুখী হচ্ছেন মুকুল ঘনিষ্ঠ বাবু মাস্টারও (Babu Master)। আর এই দলবদলের সম্ভাবনা তীব্র হতেই বিরোধিতার সুর জেলা তৃণমূলে। মুকুল ঘনিষ্ঠ দুই নেতার বিরুদ্ধে বাড়ির দেওয়ালে পাঁচিল ছেয়ে গেল পোস্টারে।

এই পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘মিরজাফরের স্থান নেই তৃণমূলে।’ বাবু মাস্টার ও রতন ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে এই পোস্টারগুলিতে। পোস্টারের নীচে লেখা ‘এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীবৃন্দ’।

এদিকে এই পোস্টার প্রসঙ্গে রতন ঘোষের দাবি, এই কাজের সঙ্গে আসলে তৃণমূল বিরোধীরা যুক্ত। অন্যদিকে বাবু মাস্টার জানিয়েছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তিনি বলবেন।

প্রসঙ্গত, ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন রতন ঘোষ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন জেলার তৎকালীন ক্রীড়া কর্মাধ্যক্ষ ফিরোজ কামাল গাজি ওরফে বাবু মাস্টার। শুধু ক্রীড়াই নয় বাবু মাস্টারের হাতে ছিল জেলা পরিষদের শিক্ষা ও তথ্য-সংস্কৃতি বিভাগও। একের পরে এক মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। কিন্তু দল তাঁর পাশে নেই। এমনই সব অভিযোগ করে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। দুই নেতাই মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ। ২০১১ সালে সিপিএম থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন বাবু মাস্টার। যদিও পরে মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে যান তিনি। এখন মুকুলের হাত ধরে ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা এই দুই নেতার।

আরও পড়ুন: কেবল দলবদলুরাই নন, পদ্মের পুরনো লোকও এবার মুকুলের হাত ধরে তৃণমূলের পথে! 

প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের ফলের পর অনেকেই বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করছেন। এ ব্যাপারে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেছেন, অনেকেই দলে ফিরতে চাইছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতৃত্বই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তৃণমূল নেত্রীও প্যারিমিটার বেঁধে দিচ্ছেন। এখনই সবার জন্য দলের দরজা খুলতে রাজি নন তিনি। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলের অন্দরে একাংশ শুরু করেছে দলবদলুদের নিয়ে বিক্ষোভ। তারই প্রভাব দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনায়। যদিও অই পোস্টার কাণ্ড নিয়ে জেলা তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা গোপাল শেঠের দাবি, এমন কাজ তাঁদের দল করে না।