AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR Tension in Bengal: ‘ভুল হলেই বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেবে…’, রাজ্যে আবার মৃত্যু! ‘দায়ী’ সেই SIR

SIR in Bengal: পরিবারের দাবি, ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের ব্যাপারটা নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই আতঙ্কেই মানসিক অবসাদে চলে যাচ্ছিলেন। এদিন নিহতের মেয়ে বলেন, 'আমায় প্রতিদিন ফোন করত। বারংবার বলত, কোনও রকম যেন ভুলভ্রান্তি না হয়। ভুল হলেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে।'

SIR Tension in Bengal: 'ভুল হলেই বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেবে...', রাজ্যে আবার মৃত্যু! 'দায়ী' সেই SIR
আবার দায়ী SIRImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2025 | 10:14 PM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা: আবার একটা মৃত্যু। দায়ী সেই ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন। এবারের ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের। সেখানে এক বৃদ্ধের মৃত্যু ঘিরে রাজ্যে চলা ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনকেই দায়ী করল পরিবার। অভিযোগ, SIR-এর ফর্ম নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই আতঙ্কেই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি।

নিহতের নাম জিয়ার আলি। তিনি দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত পশ্চিম খিলগাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাটুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। বয়স ৭০ পেরিয়ে গিয়েছে। গত ১৩ই নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ব্রেন স্ট্রোক তাঁর। তড়িঘড়ি পরিবারের তরফে বারাসত মেডিক্য়ালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে কলকাতার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বৃদ্ধকে। অবশেষে শনিবার ভোরেই প্রাণ ত্য়াগ। মৃত্যু হয়েছে বৃ্দ্ধের।

পরিবারের দাবি, ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের ব্যাপারটা নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই আতঙ্কেই মানসিক অবসাদে চলে যাচ্ছিলেন। এদিন নিহতের মেয়ে বলেন, ‘আমায় প্রতিদিন ফোন করত। বারংবার বলত, কোনও রকম যেন ভুলভ্রান্তি না হয়। ভুল হলেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে।’ বলে রাখা প্রয়োজন, এমন নয় যে ২০০২ সালের সংশোধিত তালিকায় নাম ছিল না বৃদ্ধের কিংবা ফর্ম পাননি তিনি। আর পাঁচ জনের নাগরিকের মতো সব রকম সুবিধা পেয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। তালিকাতেও নাম ছিল তাঁর।

কিন্তু তারপরেও এসআইআর নিয়ে এত কীসের আতঙ্ক? নিহতের মেয়ের দাবি, ‘বাবা ফর্মে একটা ভুল করে ফেলেছিলেন। সেই নিয়েই দিন-রাত চিন্তা করতেন। কিন্তু এই বয়সে এত চিন্তা কি মাথায় নেওয়া সম্ভব? সেই জন্যই ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে তাঁর।’ নিহতের ছেলের আবার দাবি, ‘সবাই তো ওনাকে বলছিলেন, কিছুই হবে না। সারাদিন ফর্ম নিয়ে পড়ে থাকতেন। এলাকাতেও বেশ কয়েকজনকে ফর্ম ফিল-আপ করে দিয়েছেন। উনি যেদিন অসুস্থ হলেন, সেদিনও দেখেছিলাম প্রতিদিনের মতো ফর্ম নিয়েই বসে রয়েছেন।’