কলকাতা: শক্তিগড়ে ল্যাংচা হাবের কাছে কিছুদিন আগে ভরসন্ধেয় গুলিতে ঝাঁঝরা করে খুন করা হয়েছিল কয়লার কারবারি রাজু ঝা-কে (Raju Jha)। জানা যাচ্ছে, ঘটনার সন্ধেয় রাজুর সঙ্গে একই গাড়িতে ছিল কয়লা কেলেঙ্কারিতে ফেরার আব্দুল লতিফ (Abdul Latif)। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই আবার বেপাত্তা লতিফ। আর এই লতিফকে নিয়েই বিস্ফোরক দাবি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh)। মৃত রাজু ঝার সঙ্গে পরিচিতির কথা নিজেই স্বীকার করেছেন সাংসদ। রাজুর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অর্জুন সিং। অর্জুনের সন্দেহ, লতিফকে ধরলেই এই মৃত্যু রহস্যের পর্দা উন্মোচন হবে। সাংসদের দাবি, এই ঘটনায় লতিফই হল লিঙ্কম্যান। বলছেন, ‘লতিফ ফেরার, সেই কারণেই তাঁর উপরে সন্দেহ বেশি হচ্ছে। লতিফ গাড়ি থেকে নামার পর এই ঘটনা ঘটেছে এবং তারপর থেকে লতিফ গায়েব। আমার মনে হয়, লতিফকে ধরলে এই রহস্য বেরিয়ে আসবে।’
সাংসদের সন্দেহ, লতিফের কোনও শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ত তাঁকে লুকিয়ে থাকতে সাহায্য় করছে কিংবা হয়ত তাঁকে ‘গায়েব’ করে দেওয়া হতে পারে। অর্জুন সিংয়ের কথায়, ‘এই ধরনের ক্ষেত্রে দেখা যায় লিঙ্কম্যানকে ভ্যানিশ করে দেওয়া হয়। তাতে আসল অপরাধীর কাছে পৌঁছানো যায় না। লতিফ ২০০ শতাংশ লিঙ্কম্যান। আর কোনও লিঙ্কম্যান নেই। কারণ, ওর গাড়ি ছিল, ওর ড্রাইভার ছিল।’ যদিও সাংসদের বিশ্বাস, পুলিশ নিশ্চিতভাবে লতিফকে ধরে ফেলবে এবং লতিফকে পাকড়াও করলেই এই খুনের রহস্য বেরিয়ে আসবে।
প্রসঙ্গত, রাজু ঝা যে তাঁর পূর্ব পরিচিত, সেকথা একেবারেই গোপন করছেন না সাংসদ। তবে রাজুকে চিনলেও লতিফকে তিনি চিনতেন না। সাংসদের বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমেই তিনি লতিফকে প্রথম দেখেন। পরবর্তীকে রাজুর বাড়িতে গিয়েও লতিফের নাম শুনেছেন। বিশেষ করে রাজু খুনের পর থেকেই খোঁজ নেই লতিফের। সেই কারণেই লতিফের উপর তাঁর এত বেশি সন্দেহ হচ্ছে বলে জানালেন সাংসদ অর্জুন সিং।