Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ashoknagar: ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে মেটান ১ লক্ষ ৩০ হাজার! তারপরও ‘ইন্টারেস্ট’ মেটাতে বিক্রি করেন স্ত্রীর কিডনি… ঋণ নিতে গিয়েই আসলে অশোকনগরের এই যুবক করে ফেলেন মারাত্মক ভুল

Ashoknagar: রাজ্যে ফের প্রকাশ্যে কিডনি পাচারের কারবার। আর সেই সূত্রে সামনে এল রাজ্যের এক ভযঙ্কর ছবি। ঋণ শোধ করতে না পারায় কিডনি বিক্রি করে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ। অশোকনগরের কল্যাণগড়ের এক যুবক আর্থিক অনটনের কারণে হরিপুরের বাসিন্দা শীতল ঘোষের কাছ থেকে সুদে টাকা ধার করেছিলেন।

Ashoknagar: ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে মেটান ১ লক্ষ ৩০ হাজার! তারপরও 'ইন্টারেস্ট' মেটাতে বিক্রি করেন স্ত্রীর কিডনি... ঋণ নিতে গিয়েই আসলে অশোকনগরের এই যুবক করে ফেলেন মারাত্মক ভুল
অভিযোগকারী যুবকImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 23, 2025 | 8:32 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: ঋণ শোধ করতে কিডনি পাচারের জন্য চাপ। পাচারচক্রের খপ্পরে পড়ে স্ত্রীর কিডনি বিক্রি করে ফেলেন এক যুবক। তারপরও সুদখোরের খিদে মেটেনি। শেষে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার কিডনি পাচারকারী।

রাজ্যে ফের প্রকাশ্যে কিডনি পাচারের কারবার। আর সেই সূত্রে সামনে এল রাজ্যের এক ভযঙ্কর ছবি। ঋণ শোধ করতে না পারায় কিডনি বিক্রি করে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ। অশোকনগরের কল্যাণগড়ের এক যুবক আর্থিক অনটনের কারণে হরিপুরের বাসিন্দা শীতল ঘোষের কাছ থেকে সুদে টাকা ধার করেছিলেন।

ধৃত শীতল ঘোষ

অভিষোগকারী বলেন, “শীতল ঘোষের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা সুদে নিয়েছিলাম। কম বেশি ৬-৭ মাস ধরে প্রতি দিনে ৬০০ টাকা করে, মাসে ১৮ হাজার টাকা সুদ! ৬-৭ মাসে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিয়েও দিয়েছি।” তারপরও অভিযুক্ত শীতল ঘোষের খিদে মেটেনি। সুদের টাকা নাকি ততদিনে বেড়েছে বহুগুণ! অভিযোগ, এরপরই শীতল ঘোষ ওই যুবকে কিডনি বিক্রি করার পরামর্শ দেন।

অভিযোগকারী যুবকের বক্তব্য, “আমাকে ও বলে, কিডনি বেচার লোক রয়েছে, তুই যোগাযোগ করতে পারিস। আমার সঙ্গে যোগাযোগও করিয়ে দেয়। যোগাযোগ করেছিল কচুয়ার এক দিদির সঙ্গে। সেও কিডনি বিক্রি করে শীতল ঘোষের টাকা মিটিয়েছে।”

অভিযোগ, এরপর মিডলম্যানের মাধ্যমে কলকাতার নামী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন অভিযুক্ত। সেখানে কিডনি বিক্রি করেন যুবকের স্ত্রী। সাড়ে ৫ লক্ষ টাকায় হয় কিডনি বিক্রির ডিল!

অভিযোগকারী বলেন, “কিডনি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ১২ তারিখে হাসপাতালে ভর্তির ডেট ছিল। ১৪ তারিখে ওটি হয়। সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকায় কিডনি বিক্রি হয়। এখন আার ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দাবি করছে।” শেষপর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে যুবক। তারপরই শীতল ঘোষকে গ্রেফতার করে অশোকনগর থানার পুলিশ।

দেহে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। আইন অনুযায়ী অঙ্গ বিক্রি করা যায় না। এক্ষেত্রে কিডনি পাচারকারী যেমন দোষী, একইভাবে কিডনি বিক্রেতাও কাঠগোড়ায়। এই পাচার চক্রের সঙ্গে আর কে কে জড়িত, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।