BJP Chaos: গেরুয়া শিবিরে জারি ডামাডোল, শোকজ ৫ বিজেপি কর্মী

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 04, 2022 | 1:12 PM

North 24 pargana: বিক্ষুব্ধদের চাপে রাখতে জেলা সভাপতি পনেরো জনের মধ্যে পাঁচজনকে ইতিমধ্যে শোকজ করেছেন।

BJP Chaos: গেরুয়া শিবিরে জারি ডামাডোল, শোকজ ৫ বিজেপি কর্মী
বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: কয়েকদিন আগেই স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বারাসত জেলা কমিটিতে বেড়েছিল উত্তেজনা। শুরু হয়েছিল গেরুয়া শিবিরে ডামাডোল। সেই গণ্ডগোলের সমাধান তো হয়নি উল্টে বেড়ে গিয়েছে অন্তর্কলহ। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত সংসদীয় জেলাতে ৬৯ জন জেলা কমিটির মধ্যে ১৫ জন জেলা কমিটির মেম্বার যারা ইতিমধ্যেই নিজেদের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। সূত্রের খবর, এরকম আরও কয়েকজনের নাম উঠে আসছে যাঁরা পদত্যাগ করতে পারেন ।

প্রথম ঘটনা খবরে প্রকাশ্যে আসে চলতি মাসের ১ তারিখ। বিজেপি বারাসত জেলা কমিটিতে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। পুরভোটের সময় তা আরও জোরদার হয়। ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের দাবি, জেলার বর্তমান সভাপতি তাপস মিত্র স্বজন-পোষণ করছেন। শুধু তাই নয়, পুরভোটের সময়ও তিনি নাকি নিজের পছন্দের প্রার্থীদের টিকিট দিয়েছেন।একই সঙ্গে তাঁদের দাবি নির্বাচনের আগে দল বদল করে যাঁরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছেন তাঁদেরকেই অধিক সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন তাপস মিত্র। একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। এরপরই ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা জেলা কমিটির পদ থেকে ইস্তফা দেন। মনে করা হয়েছিল এদিনের পর হয়ত পরিস্থিতি কিছুমাত্রায় হলেও স্বাভাবিক হবে। সে তো হলই না, উল্টে খবর যে আরও কয়েকজন রয়েছেন যারা পদত্যাগ করতে পারেন ।

জানা গিয়েছে, বিক্ষুব্ধদের চাপে রাখতে জেলা সভাপতি পনেরো জনের মধ্যে পাঁচজনকে ইতিমধ্যে শোকজ করেছেন। সভাপতি তাপস মিত্র জানাচ্ছেন, পাঁচজন যদি সন্তোষজনক উত্তর না দিতে পারেন তাহলে দল তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শাস্তি দিতে পারেন। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক কেন, গোটা বিষয়টি রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই হবে এমনটাই জানিয়েছেন জেলা সভাপতি।

এদিকে, এই বিষয়ে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্বরা জানিয়েছেন, দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে আসার জন্য তাঁদের লড়াই জারি। কিন্তু শোকজের বিষয় নিয়ে তাঁরা এখনই কোনও মন্তব্য করতে চান না। তবে সভাপতি যে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা তাঁর উত্তর দেবেন।

বস্তুত, প্রথম দিনের বিক্ষোভের পর গোটা বিষয়টি অভিযোগ জানিয়ে বিক্ষুব্ধরা চিঠি দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদারকে। ঘটনার বিষয়ে বিক্ষুব্ধ এক বিজেপি কর্মী বলেন, “পুরনির্বাচনে পুরনো প্রচুর কর্মী ওয়ার্ড আগলেছেন, মার খেয়েছেন, তাদের কোনও মূল্য নেই ওনার কাছে। তিনি যা মনে করবেন তাই হবে। আর এতজনের ইস্তফার দায় তাপস মিত্রকে নিতে হবে। পুরভোটে প্রার্থী নির্বাচনে উনি ভুল করেছেন। যাঁরা যোগ্য তাদের না বসিয়ে নিজের পছন্দের মানুষকে টিকিট দিয়েছেন। সেই কারণে আজ আমাদের বিক্ষোভ। ইতিমধ্যে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যদি তারপরও কোনও কাজ না হয় তাহলে আমরা নিজেদের মতোই কাজ করব নিজেদের ওয়ার্ডে।”

এদিকে, যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই বিজেপির জেলা তাপস মিত্র সেই দিন জানান, কারা ইস্তফা দিয়েছে জানা নেই। পার্টির সিদ্ধান্ত যে ৪৫ বছরের নিচে যারা আছেন তারাই জেলা কমিটিতে থাকতে পারবেন। এটা আমার কোনও সিদ্ধান্ত নয়, দলের সিদ্ধান্ত। তাই যারা ইস্তফা দিয়েছেন তাদের অনেকেই ৪৫ বছরের নিচে রয়েছেন। তাঁদের আমি দায়িত্ব দিতেও চেয়েছিলাম। বাকি বিষয় আলোচনা হবে।”

 

 

 

 

 

 

Next Article