বারাসত: ‘রথীন ঘোষ সব জানতেন’ বারাসতের নীলগঞ্জের মোছপোলের ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর ঠিক এই ভাবেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকাবাসী। রবিবার সকালেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নীলগঞ্জের মোছপোল এলাকা। পুলিশের তরফে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করে এখনও জানায়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবি কমপক্ষে ৭ সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন।
বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই মারত্মক ছিল আশপাশের বাড়িগুলিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বারংবার স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, “পুলিশ প্রশাসন থেকে রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানতেন এই বাড়ি বেআইনি বাজি তৈরি হয়।”
এলাকাবাসীর দাবি, যে বাড়িতে এই বেআইনি বাজি তৈরি হত সেই বাড়ির মালিককে নাকি তাঁরা বারংবার বলেছিলেন পাড়ার মধ্যে এই ধরনের কারখানা না করতে। লোকালয়ের বাইরে কোনও জায়গায় করতে। অভিযোগ,কিন্তু তিনি কোনও কর্ণপাতই করেননি। ফলে প্রশ্ন উঠছে তিনি কি নিজেও প্রভাবশালী? নাকি কোনও প্রভাবশালীর হাত মাথায় রয়েছে তাঁর?
একা এলাকাবাসী নয়, খোদ এলাকার তৃণমূলের নেতা বাবলা রায় বলেছেন এখানে বাজি কারখানার আড়ালে বোমা কারখানার চলত। পুলিশ সব জানত। আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন, “ওটা বাজি কারখানা নয়। ওটা বোমা কারখানা।” পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, আমি মিটিং করে পুলিশের আইসি কে বলেছিলাম আপনারা অবিলম্বে এই কারখানা বন্ধ করুন। সেলিম আলি এই কাজ করছে। ওর নাম করে বলেছিলাম। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি। ওখানে আলু বোমা তৈরি হচ্ছিল। বাজির কোনও সম্পর্কই নেই।”
যদিও বাজি মোছপোলে বাজি কারখানা রয়েছে সে বিষয়টি জানতেনই না মন্ত্রী রথীন ঘোষ। তেমনটাই দাবি করেছেন তিনি। রাজ্যের মন্ত্রী বলেছেন,”আজকের ঘটনার পর আমি জানতে পেরেছি।”
মে মাসে এগরার ঘটনায় বারো জনের মৃত্যু হয়েছিল। মহেশতলায় মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছিল। এগরা-কাণ্ডের পর মন্ত্রী সভার বৈঠক হয়েছিল। কমিটি গঠন করা হয়। পুলিশকে নিয়েও কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু ছবি বদলাল কি? আবারও আঙুল উঠে গেল।