ব্যারাকপুর: ক্লাবের ভিতর প্রতিদিন বসে মদের আড্ডা। হাজারবার বারণ করলেও শোনেনি কেউ। তাদের এক সদস্যদের বাধা দেয় ক্লাবেরই অপর সদস্যরা। এই নিয়ে চলে মারধর, বোমাবাজি। আর এই ঝামেলা থেকে বাদ পড়েননি মহিলারও।
উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের তিন নম্বর ওয়ার্ডে সদর বাজার বাকার মহলে ক্লাব দখলকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি হয়। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ত্রিনয়ন সংঘ ক্লাবের ভিতর মদের আসর বসছিল। যার জেরে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। রবিবার রাত্রিবেলাও বসেছিল সেই আসর। এবার পাড়ার মধ্যে ক্লাব হওয়ায় এলাকার মানুষের যাতায়াতে খুব অসুবিধা হয়।
শুধু তাই নয়, ওই ক্লাবের ভিতর চলে গালিগালাজ। বাইরে থেকে ছেলে নিয়ে এসে বসে আড্ডার আসর। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করে এলাকার কয়েকজন যুবক ও মহিলারা। অভিযোগ, ওই ক্লাবের সদস্য দুই ভাই শুভ বোস ও নিতাই বোস বাইরে থেকে ছেলে ডেকে নিয়ে এসে ক্লাবেরই সামনে বোমা ছোড়ে। অভিযোগ সেই সময় বোমাটি মহিলার শরীরে লেগে ছিটকে গিয়ে ড্রেনে পড়ে। কিন্তু ফাটেনি। এখানেই শেষ নয়, এরপর ক্লাবের ক্যাশিয়ার সজল কুমার দত্তকে পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। সজলবাবুকে বাঁচাতে এসে মাথা ফেটে যায় আর একজনেরও। সঙ্গে হাতুড়ি মেরে মহিলার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।
এরপরই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় শুভ, নিতাই এবং তাদের লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। বোমাটি উদ্ধার করা হয়। এরপর পুলিশ তল্লাশি শুরু করে শুভকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে এলাকাবাসীরা ক্লাবটিকে তালা মেরে দেয়। এলাকার মানুষের দাবি, তারা আর ক্লাবটিকে খুলতে দেবেন না। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
আহত এক ক্লাব সদস্য বলেন, ‘আমায় সঞ্জয়দা বাঁচাতে এসেছিল। ওকে মেরেও ওর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সঞ্জয়দা এখন থানায় গিয়েছে। ওর মাথায় দু’টো সেলাই পড়েছে। আমার পেটের কাছে বন্দুক ধরেছিল ওরা। আমরাও এই ক্লাবের সদস্য। তারপরও আমাদের সঙ্গে এমন কাজ করেছে।’