MP Arjun Singh: রাজনৈতিক হিংসা থামাতে সর্বদল বৈঠক ডাকুক সরকার, ‘পরামর্শ’ অর্জুন সিংয়ের
North 24 Parganas: পশ্চিমবাংলায় এখনও সস্তার বোমা চলে। আওয়াজ করে মানুষকে ভয় দেখিয়ে দেওয়া। আর এই হিংসা আজ থেকে হচ্ছে নাকি?
উত্তর ২৪ পরগনা: রাজনৈতিক হিংসা থামাতে সরকারের সর্বদল বৈঠক ডাকা উচিত। পরামর্শ ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh)। অর্জুন সিংয়ের কথায়, পুলিশ-প্রশাসনের একার পক্ষে এভাবে রাজনৈতিক হিংসা দমন করা সম্ভব নয়। এর জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলের এগিয়ে আসা উচিত। রবিবার ভাটপাড়ায় নিজের কার্যালয়ে বসে অর্জুন সিং বলেন, “ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যে একে-৪৭ চলে, অটোমেটিক বন্দুক দিয়ে খুন হয়। আতিক আহমেদকে কীভাবে মারা হল, জীবাকে কীভাবে মারা হল। কোর্টের মধ্যে মারা হল। পশ্চিমবাংলায় এখনও সস্তার বোমা চলে। আওয়াজ করে মানুষকে ভয় দেখিয়ে দেওয়া। আর এই হিংসা আজ থেকে হচ্ছে নাকি? ১৯৫০ সালে আমার বাবার উপর বোমা চালিয়েছিল সিপিএম। আমার বাড়ির সামনে। বাংলায় শুরু থেকেই চলছে। পুলিশ তো বোমা উদ্ধারও করছে। পুলিশ কাজ করছে বলেই তো উদ্ধার করছে।”
একইসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, “শুধু প্রশাসনকে দোষ না দিয়ে, সমস্ত রাজনৈতিক দলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় সকলে একসঙ্গে বসে এটা নিয়ে আলোচনা দরকার। এরকম হানাহানির রাজনীতি থেকে সরে আসতে হবে। সকলে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না খুঁজলে এটা কখনও বন্ধ হবে না। স্বচ্ছভাবে এই হানাহানি বন্ধ করতে হবে। সরকারের সর্বদল বৈঠক ডাকা উচিত। এরকম পলিটিকাল ক্রাইম যাতে না হয়, তার জন্য বসা উচিত। এ ধরনের রাজনৈতিক অপরাধ ঘটতে থাকলে, সবদিকে একইরকম ঘটনা ঘটতে থাকলে, কত পুলিশ আছে?”
যদিও অর্জুনের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সরকারের কী করা উচিত, তা না বলে উনি যদি এসবের বিরুদ্ধে হন আগে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করুন। সন্ত্রাসের কথা বলেই একবার তো পদত্যাগ করেছিলেন। বিজেপিতে এসেছিলেন। আবার তৃণমূল কংগ্রেসেই ফিরে গিয়েছেন। ফলে তাঁর বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন থাকছে।”