Barrackpur: পাড়ার মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, তা বলে! দুই সন্তানের সঙ্গেই স্বামীকে ওই অবস্থায় দেখে বোবা হয়ে গেলেন স্ত্রী
Barrackpur: বেশ কিছুদিন ধরে জ্যোতিপ্রকাশের স্ত্রী লাবণী মণ্ডল আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন। প্রতিবেশীদের সূত্রেই জানা যায়, গয়েশপুর হাইস্কুলের শিক্ষক জ্যোতিপ্রকাশের সঙ্গে স্থানীয় এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তা নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়।
বারাকপুর: সকালে সাধারণ বাজারে যান। বাড়িতে দুই ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করে। প্রতিবেশীরা নিত্য শিক্ষকের বাড়িতে এই দৃশ্য দেখেই অভ্যস্ত। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে অদ্ভুতভাবে শান্ত ছিল শিক্ষকের বাড়ির আবহ। কাউকে বাড়ির বাইরে দেখতে পাচ্ছিলেন না কেউ। প্রতিবেশীরা খোঁজখবর করতে হাকডাক শুরু করেন। কিন্তু কাউকে দেখতে পাননি। প্রতিবেশীদের কানে খবর আসে, বাড়ির অদূরে গাছে কেউ গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন। আর মাটিতে পড়ে রয়েছে দুই বাচ্চা ছেলেমেয়ের দেহ। দৌড়ে প্রতিবেশীরা সেখানেই যান। আর গিয়ে দেখেন গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন হাইস্কুলের শিক্ষক। আর পাশেই পড়ে তাঁর ছেলে-মেয়ে। দুই সন্তানকে খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হাইস্কুলের শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির শিবদাসপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিক্ষকের নাম জ্যোতিপ্রকাশ মণ্ডল। ছ’বছরের ছেলের নাম জয়মাল্য ও ন’বছরের মেয়ের নাম লাজবন্তী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে জ্যোতিপ্রকাশের স্ত্রী লাবণী মণ্ডল আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন। প্রতিবেশীদের সূত্রেই জানা যায়, গয়েশপুর হাইস্কুলের শিক্ষক জ্যোতিপ্রকাশের সঙ্গে স্থানীয় এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তা নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়। স্ত্রী আলাদা থাকতে শুরু করেন। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে থাকতেন জ্যোতিপ্রকাশ।
আর তার জেরেই গত কয়েকদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন জ্যোতিপ্রকাশ। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে, সে কারণে দুই সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন জ্যোতিপ্রকাশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জ্যোতিপ্রকাশের স্ত্রীও। তিনি কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। বললেন, “আমি জানি না। ঠিক কী হয়েছে। তবে সন্তানগুলোকে নিয়ে চলে গেল…”
পুলিশ আপাতত তিন জনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।