Barrackpur TMC Inner Clash: রাজের হাত ধরেই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, মণীশ শুক্লা ঘনিষ্ঠের ওপর প্রাণঘাতী ‘হামলা’
Barrackpur TMC Inner Clash: পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। বারাকপুরের শান্তিবাজারের কাছে কয়েকজন যুবক তাঁর ওপর হামলা চালায়। লাঠি, লোহার রড, বন্দুকের বাঁট দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়।
বারাকপুর: ফের বারাকপুরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সদ্য বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর হাত ধরে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া অনীল রজকের ওপর হামলার অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল কর্মী সন্তোষ জয়সওয়াল ও তাঁর দলবল। অভিযোগ, সন্তোষের লোকই অনীলের ওপর হামলা চালিয়েছে। অনিল রজকের মাথার সামনে ও পিছনে গুরুতর চোট রয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। তিনি বিপন্মুক্ত নন বলে চিকিত্সকরা জানিয়েছেন।
অনীল রজক নিহত প্রভাবশালী নেতা মনীষ শুক্লা ও বিশাল যাদবের অনুগামী বলে পরিচিত। এই দু’জনের হাত ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। ২০০৯ সাল থেকে তিনি সক্রিয় তৃণমূল করেছেন। তারপর ২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই রাজ চক্রবর্তীর হাত ধরে ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হয় তাঁর।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। বারাকপুরের শান্তিবাজারের কাছে কয়েকজন যুবক তাঁর ওপর হামলা চালায়। লাঠি, লোহার রড, বন্দুকের বাঁট দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। মাথাতেই বেশিরভাগে আঘাত লেগেছে তাঁর। সারা মুখে-মাথায় তৈরি হয়েছে গভীর ক্ষত। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন অনীল। রাস্তা ভিজে যায় চাপ চাপ রক্তে। পরে স্থানীয়রা ছুটে আসার আগেই পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। ঘটনার পিছনে সন্তোষ জয়সওয়ালের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
অনীলের দাদার বক্তব্য, “সোমবার বন্ধুর দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিল ভাই। শান্তিবাজারের কাছে সন্তোষ জয়সওয়াল ও তার দলবল চড়াও হয়। ইড-রড-বন্দুকের বাঁট দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়।” রাতেই প্রথমে অনীলকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর আরও দুটি হাসপাতাল ঘুরে অনীলকে ভর্তি করা হয় সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
পরিবারের পক্ষ থেকে টিটাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর দাদা। এর আগেও একাধিক বার তাঁর ভাইয়ের উপর আক্রমণ হয়েছে বলে অভিযোগ । বিজেপি এই ঘটনাকে নব্য তৃণমূল বনাম পুরনো তৃণমূলের লড়াই বলে আখ্যায়িত করেছে।
বিজেপি নেতা বলেন, “এখন নব্য তৃণমূল আর পুরনো তৃণমূলের লড়াই চলছে। যারা অন্য দলে গিয়েছিল, তারা ফেরত গিয়ে আবার কামাই করার চেষ্টা করছে। দলের মধ্যেই দুই দলের কামাইয়ের লড়াই চলছে। আসলে যেখানে ঘটনাটা ঘটেছে, সেখানে তৃণমূল বিজেপি কিংবা অন্য কোনও দলের আক্রান্ত হওয়ার বিষয় নয়, ওখানকার ঝামেলাটা আসলে দু’পক্ষের কামাই নিয়েই বচসা।”
এপ্রসঙ্গে পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা দলের কোনও আভ্যন্তরীণ বিষয় নয়।”