Basirhat News: প্রতি রবি ও সোম গ্রামে ঢুকতেন ফুচকাওয়ালা, এই সপ্তাহে ফুচকা খাওয়ার পরই গ্রাম জুড়ে চরম হাহাকার

Basirhat News: সোমবার ও মঙ্গলবার গায়ের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, মাথার যন্ত্রণা, বমি ও পেট খারাপ নিয়ে অসুস্থের সংখ্যা আরো বাড়তে থাকে।

Basirhat News: প্রতি রবি ও সোম গ্রামে ঢুকতেন ফুচকাওয়ালা, এই সপ্তাহে ফুচকা খাওয়ার পরই গ্রাম জুড়ে চরম হাহাকার
ফুচকা খেয়ে অসুস্থ একই গ্রামের অনেকে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 17, 2022 | 10:43 AM

বসিরহাট: গ্রামে প্রত্যেক রবি ও সোমবার করে আসতেন তিনি। হাঁক পাড়তেন। আর তাঁর ডাকেই গ্রামের সরু গলির মুখে ভিড় জমাতেন পুরুষ-মহিলা-শিশু। একটু বেশি ঝাল, বেশি করে তেঁতুলের জল, ভাল করে আলু-ধনেপাতা-চাট মশলা দিয়ে মাখা আলু সহযোগে ফুচকা। প্রত্যেক সপ্তাহে ওই ফুচকাওয়ালার ফুচকা বাধাধরা সন্ধ্যার টিফিন ছিল গ্রামবাসীদের। এই সোমবারও এসেছিলেন তিনি। গ্রামের ছেলেমেয়েরা খেয়েছিলেন। কিন্তু রাত বাড়তেই বিপদ জানান দিতে থাকে পেট। পেটে মোচড়, বমি, ঘন ঘন পায়খানা। তাপমাত্রা বাড়তে থাকে শরীরের। এক-দু’জন নয়, খোঁজ নিয়ে জানা যায় গ্রামের আশি জন বাসিন্দারাই একই উপসর্গ। বসিরহাটের সোনাপুকুর-শঙ্করপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নোয়াপাড়া গ্রামে ফুচকা খেয়ে অসুস্থ একই গ্রামের শিশু, মহিলা ও পুরুষ সহ কমপক্ষে ৮০ জন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, প্রতি রবিবার ও সোমবার করে গ্রামেই আসেন এক ফুচকাওয়ালা। তাঁর থেকে ফুচকা কিনে খান গ্রামের পুরুষ, মহিলা এবং শিশুরা। আর তা খেয়েই দু’দিন ধরে অল্প অল্প অসুস্থ হচ্ছিলেন গ্রামের একাধিক বাসিন্দা। সোমবার ও মঙ্গলবার গায়ের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে, সঙ্গে মাথার যন্ত্রণা, বমি ও পেট খারাপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে অসুস্থতা।

গ্রামের প্রচুর মানুষ বর্তমানে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। এছাড়াও গ্রাম এবং অন্যান্য জায়গা থেকেও চিকিৎসা করাচ্ছেন গ্রামের বাকি বাসিন্দারা। সব মিলিয়ে গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন প্রায় ৮০ জন অসুস্থ হয়েছেন। মূলত তাঁদের সমস্যা হচ্ছে বমি ও জ্বর। হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক সৌমিত্র পাইক জানান, আপাতত ২০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সকাল থেকে আউটডোরে অনেকেই চিকিৎসা করিয়েছেন বলেও জানান তিনি। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। কীভাবে তাঁরা ফুচকা খেয়ে অসুস্থ হলেন সেটাই প্রশ্ন।

চিকিৎসকরা মনে করছেন, ফুচকায় বিষক্রিয়া হয়েছিল। অন্য কোনও কারণেও ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন সকলে। সবটাই খতিয়ে দেখছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।