Basirhat: রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার যুবকের মুন্ডুহীন দেহ, রহস্য বাড়ছে বসিরহাটে
Basirhat: স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বছর দু’য়েক আগে বিয়ে হয়েছিল বিশ্বম্ভরের। কিন্তু, বিয়ের পর থেকে সুখ ছিল না পরিবারের। প্রায়শই অশান্তি হত স্ত্রীর সঙ্গে। অনেকেই বলছেন সেই মানসিক অশান্তি থেকে তিনি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
বসিরহাট: কয়েকদিন আগেই বজবজ শিয়ালদা শাখায় আকড়া স্টেশনের কাছে ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন এক মহিলা। তাঁর বাড়ি মহেশতলায়। এরইমধ্যে ফের রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার যুবকের মুন্ডুহীন দেহ। এদিন শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখার অনন্তপুর ও মধ্যমপুর রেল স্টেশনের মাঝখানে এক যুবকের মুন্ডুহীন দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। দেহ দেখতে বহু মানুষই ভিড় জমাতে থাকেন ওই এলাকায়। খবর যায় পুলিশে। যদিও তখনও ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি।
কোথায় তাঁর বাড়ি, কোথা থেকে এসেছেন, কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা নিয়ে বাড়তে থাকে জল্পনা। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন হাসনাবাদ জিআরপিতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রেল পুলিশ। যুবকের মুন্ডুহীন মৃতদেহ উদ্ধার করে বারাসাত রেল পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়। যদিও তখনও মৃতের পরিচয় নিয়ে ধন্দেই রয়েছে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত।
খোঁজ-খবর চালানো হয় আশেপাশের এলাকাতে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ জানতে পারে মৃত যুবকের নাম বিশ্বম্ভর ঘোষ। বয়স ২৪। জানা যায়, যুবকের বাড়ি বসিরহাটের মধ্যমপুরের ঘোষ পাড়া এলাকায়। কিন্তু, তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি কেউ তাঁকে খুন করে ফেলে গিয়েছে তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। পরিবার সূত্রে খবর, গত একদিন ধরে নিখোঁজ ছিল বিশ্বম্ভর। খোঁজ চসছিল বাড়ির পাশের এলাকায়। খোঁজ করা হয় আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতেও। কিন্তু, খোঁজ মেলেনি। আচমকা তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বছর দু’য়েক আগে বিয়ে হয়েছিল বিশ্বম্ভরের। কিন্তু, বিয়ের পর থেকে সুখ ছিল না পরিবারের। প্রায়শই অশান্তি হত স্ত্রীর সঙ্গে। অনেকেই বলছেন সেই মানসিক অশান্তি থেকে তিনি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে।