Belgharia:শরীর বেয়ে শ্বশুর-নন্দাইয়ের নোংরা স্পর্শ, ভিডিয়ো করেছিলেন স্বামী! সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে থানায় অন্তঃস্বত্ত্বা বধূ
Belgharia: স্বামীর প্ররোচনায় বেলঘরিয়ায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে শ্বশুর ও জামাইয়ের বিরুদ্ধে। অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ মহিলা অভিযোগ করেছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর ওপরে যৌন নির্যাতন করেছেন।
বেলঘরিয়া: এক আত্মীয়ের বিয়েতে যাবে বলে স্বামী, স্ত্রীকে বলেছিলেন, তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নিতে। দিয়েছিলেন এক গ্লাস জল। তারপরই স্ত্রী বুঝেছিলেন, তাঁর সঙ্গে নোংরা আচরণ করছেন শ্বশুর ও নন্দাই। আর গোটা বিষয়টির ভিডিয়ো করছেন তাঁরই স্বামী। ভয়ঙ্কর ঘৃণ্য অভিযোগ খোদ বেলঘরিয়ার গৃহবধূর। বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূ। কিন্তু সন্তানের স্বীকৃতি দিতে নারাজ শ্বশুরবাড়ি। বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন গৃহবধূ। কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতা। বেলঘরিয়ায় গৃহবধূর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন শ্বশুর ও নন্দাইয়ের বিরুদ্ধে। এমনকি অন্তঃসত্ত্বাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
স্বামীর প্ররোচনায় বেলঘরিয়ায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে শ্বশুর ও নন্দাইয়ের বিরুদ্ধে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা অভিযোগ করেছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর ওপরে যৌন নির্যাতন করেছেন। নির্যাতিতার অভিযোগ, গত বছর একটি দিনে তাঁদের এক আত্মীয়ের বিয়ে ছিল। সেদিন তিনি বাপেরবাড়িতে ছিলেন। সেখানে থেকে স্বামীই তাঁকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে আসেন। জল খেতে দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, জল খাওয়ার পর তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন। যখন তাঁর জ্ঞান আসে, তখন তিনি বুঝতে পারছিলেন, শ্বশুর ও নন্দাই তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন। তাঁর দাবি, তিনি সেসময়ে হাত বাড়িয়ে তাঁর স্বামীকে ডেকেছিলেন। কিন্তু সে সময় স্বামী গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করছিলেন বলে অভিযোগ।
ঘটনার কিছুদিন পর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। অভিযোগ, তাঁর স্বামী এখন সেই সন্তানের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। এতদিন প্রাণভয়ে গোটা বিষয়টি চেপে রাখলেও এখন পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। শ্বশুর, নন্দাইয়ের বিরুদ্ধে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা।
তবে নির্যাতিতার অভিযোগ, বেলঘরিয়া থানার পুলিশ কোনও সহযোগিতা করেনি। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি। অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূকে তাঁর স্বামী প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ। থানার বাইরে দাঁড়িয়েই গৃহবধূ বললেন, “আমি আমার সন্তানের পরিচয় চাই। আমি ডিএনএ টেস্ট করাতেও রাজি। যদি পুলিশ আমাকে সাহায্য না করে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার আর কোনও উপায় নেই।” যদিও অভিযুক্তদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সংবাদমাধ্যমকে দেখে বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ করে দেন তাঁরা।