বিধানসভা ভোটে মতুয়া-প্রার্থী নিয়ে মুখ খুললেন শান্তনু ঠাকুর
উত্তর ২৪ পরগনা: রাজ্যের যে সমস্ত আসনে মতুয়া ভোটের প্রভাব, তার একটা অংশে মতুয়ারাই প্রার্থী হোন। এমনই ইচ্ছার ইঙ্গিত শোনা গেল বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের গলায়। তিনি বলেন, প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি করার ইচ্ছা মতুয়াদের রয়েছে। অতীতেও রাজনীতির সঙ্গে তাদের যোগ ছিল। বিজেপি সাংসদের কথায়, “কেউ যদি ভেবে থাকে ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর এরা উদ্বাস্তু হয়ে […]
উত্তর ২৪ পরগনা: রাজ্যের যে সমস্ত আসনে মতুয়া ভোটের প্রভাব, তার একটা অংশে মতুয়ারাই প্রার্থী হোন। এমনই ইচ্ছার ইঙ্গিত শোনা গেল বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের গলায়। তিনি বলেন, প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি করার ইচ্ছা মতুয়াদের রয়েছে। অতীতেও রাজনীতির সঙ্গে তাদের যোগ ছিল। বিজেপি সাংসদের কথায়, “কেউ যদি ভেবে থাকে ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর এরা উদ্বাস্তু হয়ে আছে, একদমই না।”
এর আগে সিএএ বহাল নিয়েও সুর তুলেছিলেন শান্তনু। যদি দল তাঁকে সবরকমভাবেই আশ্বস্ত করে। এরইমধ্যে আবার বিধানসভা ভোটে মতুয়া-প্রার্থী নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “অবিভক্ত ভারতবর্ষে আমাদের মতুয়ারা জোটে তিনবার সরকার গঠন করেছিল। রাজনীতি কিন্তু আমাদের রক্তের মধ্যে রয়েছে। কেউ যদি ভেবে থাকে ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর এরা উদ্বাস্তু হয়ে আছে, না। একটা সময় প্রত্যেকে এরা সমৃদ্ধশালী মানুষ ছিলেন। রাজনীতি করার অবস্থা ছিল। সে আকাঙ্খা মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে আছে। আমরা আশা রাখছি এবার মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে ভোটে দাঁড়াবে। কত দাঁড়াবে তা তো বলা সম্ভব নয়। তবে রাজ্যের ৮০টা আসনের ভোটব্যাঙ্কে মতুয়াদের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। অবশ্যই আমাদের ইচ্ছা তারা রাজনীতি করুক।”
আরও পড়ুন: শিরোনামে পালঘর! নৌসেনা জওয়ানকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল অপহরণকারীরা
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠের দাবি, “যিনি বাড়ির পাশের লোককে চেনেন না, তিনি ৮০টা বিধানসভা আসনে জেতার স্বপ্ন দেখেন কী করে। সাংসদ হলেও ওনার তো কোনও কার্যকলাপই নেই। বনগাঁর মানুষ ওনার নামও ভুলে গিয়েছেন।” যদিও বিজেপি তৃণমূলের এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে। তবে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিজেপির সাংগঠনিক বনগাঁ জেলার সম্পাদক দেবদাস মণ্ডলের বক্তব্য, “কতজন মতুয়া ভোটের প্রার্থী হবেন তা দল সিদ্ধান্ত নেবে। তবে মতুয়ারা আর তৃণমূলের সঙ্গে নেই। তারা এখন বিজেপির সঙ্গে। এই নির্বাচনে বিজেপিরই জয় হবে।”