ব্যারাকপুর : ব্যারাকপুরের এক নামি বিরিয়ানির দোকানে সোমবার দুপুরে হঠাৎই বাইকে চেপে এসে চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। এলোপাথারি গুলি চালায়। ঘটনায় দুইজন জখম হয়। ব্যারাকপুরের প্রসিদ্ধ ওই বিরিয়ানির দোকানে এ হেন হামলায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার সঙ্গে মধ্যমগ্রাম এলাকার কোনও দুষ্কৃতী চক্র জড়িত থাকতে পারে। ওই দোকানের মালকিন জানিয়েছেন, আজ থেকে তিন দিন আগে একটি হুমকি ফোন এসেছিল তাঁর কাছে। বিরিয়ানির দোকানের মালকিন জানিয়েছেন, “হুমকি ফোনে প্রচণ্ড গালিগালাজ করছিল। খুব নোংরা ভাষায় কথা বলছিল। বলছে, তোদের এত সেল। বেশি সেল দেখাচ্ছিস। অহংকার হয়ে গিয়েছে।”
ওই ঘটনায় একটি সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, বাইকে চেপে দুষ্কৃতীরা আসে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ওই যুবকের নাম শেখ রাজু। তবে বাকি দুইজনকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ ইতিমধ্য়েই শেখ রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে দিয়েছে। ওই অভিযুক্ত কোনও ‘টিপার’ ছিল কি না, সেই বিষয়ে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা। ব্যারাকপুরের এই বিরিয়ানির দোকানে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ উঠেছিল। বিরিয়ানির দোকানের মালকিন জানিয়েছেন, “বলতে পারছি না কেন এটা হচ্ছে। আমরা খুব আতঙ্কে আছি। এর আগেও ঝামেলা হয়েছিল। তোলা নেওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। কিন্তু জানি না এবার গুলিটা কেন চলল।”
তবে সপ্তাহের শুরুতেই প্রকাশ্যে গুলি চলার ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে এলাকাবাসীরা। তবে ওই ব্যবসায়ী পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এক হিন্দি ভাষী ফোন করে তাদের হুমকি দিয়েছিল তিন দিন আগে। সোমবার বিরিয়ানির দোকানে গুলি সেই হুমকি ফোনেরই ফল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। তবে বার বার মধ্যমগ্রামের যোগ উঠে আসছে ঘটনায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মধ্যমগ্রাম থেকে কোনও দুষ্কৃতী চক্রই এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। উল্লেখ্য, এর আগে তোলা না দেওয়ার কারণ বোমা পড়েছিল ওই বিরিয়ানির দোকানে।