Video: তৃণমূলের কেউ তাবেদারি দেখাতে এলে জুতো মারার নিদান বিজেপি বিধায়কের

Video: তৃণমূলের কেউ তাবেদারি দেখাতে এলে জুতো মারার নিদান বিজেপি বিধায়কের

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Soumya Saha

Updated on: Feb 07, 2023 | 12:50 PM

Gaighata news: ফের লাগামহীন বাক্যবাণ বঙ্গ রাজনীতিতে। এবার উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায়। তৃণমূলের কোনও নেতা এলাকায় এসে যদি তাবেদারি দেখাতে চান, তাহলে তাঁদের জুতোপেটা করার নিদান দিলেন বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার।

গাইঘাটা: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Elections 2023) যত এগিয়ে আসছে, তত কথার ফুলঝুড়ি বাড়ছে নেতাদের মুখে। শাসক-বিরোধী কোনও শিবিরই পিছিয়ে নেই। ফের লাগামহীন বাক্যবাণ বঙ্গ রাজনীতিতে (West Bengal Politics)। এবার উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় (Gaighata)। তৃণমূলের কোনও নেতা এলাকায় এসে যদি তাবেদারি দেখাতে চান, তাহলে তাঁদের জুতোপেটা করার নিদান দিলেন বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। সোমবার সন্ধেয় গাইঘাটা থানার ডুমা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখানেই বক্তব্য রাখার সময় এই মন্তব্য করেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক।

স্বপন মজুমদার বলেন, ‘সকলে ভাল করে শুনে রাখুন, তৃণমূলের কোনও নেতা এসে যদি চোখ রাঙায়, যদি তাদের তাবেদারি দেখাতে চায়, যদি তাদের বাপের ঘর থেকে দিচ্ছে বলতে আসে, তাহলে সটানে জুতো খুলে মারবেন। গণতান্ত্রিক দেশে সবার অধিকার রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ পাবে। কেউ তাবেদারি করে তাঁর ঘরের থেকে দিচ্ছে না।’ যদিও এই বিষয়ে স্বপন মজুমদারের ব্যাখ্যা, ‘যদি কেউ আমাদের অধিকারকে লুঠ করতে আসে তাহলে কি আমরা বসে থাকব? যদি কেউ ভোট লুঠ করতে আসে তাহলে তাঁকে বাধা দেওয়া এবং শায়েস্তা করার কথা বলেছি।’

বিজেপি বিধায়কের এহেন মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। বলেন, ‘বিজেপি তাসের ঘরের মতো ভেঙে যাচ্ছে। নিজেদের বিধায়কদের ধরে রাখতে পারছে না। প্রত্যেক বুথে কর্মী খুঁজে পাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তারা ভুতুড়ে লিস্ট জমা দিচ্ছে। তারা পঞ্চায়েতে প্রত্যেক বুথে কর্মী দিতে পারবে না। সেই কারণে এই ধরনের সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে বেরাচ্ছে। তাই বিজেপির সবাই এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন।’

প্রসঙ্গত, এর আগে শাসক দলের অনেক নেতার মুখেও এই ধরনের আক্রমণাত্মক মন্তব্য শোনা গিয়েছে। শুধু তৃণমূল বা বিজেপি নয়, ঝাঁঝালো বাক্যবাণ শোনা গিয়েছে বামেদের মুখেও।