Sodepur Death: খুন না আত্মহত্যা? বন্ধ ঘরে রক্তের ছাপ কেন? সোদপুরে বৃদ্ধের মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা
Sodepur Death: ঘরের ভিতরে মেঝেতে পড়ে কুন্তলবাবুর দেহ। কীভাবে বৃদ্ধের মৃত্যু হল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।
সোদপুর: সোদপুরের অমরাবতী এলাকায় অস্বাভাবিক মৃত্যু বৃদ্ধের। মৃতের নাম কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়। ষাটোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধ বাড়িতে একাই থাকতেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিন কুন্তলবাবুর আত্মীয়রা বাড়িতে গিয়েছিলেন। অনেকবার ডাকাডাকি, দরজায় ধাক্কাধাক্কি করার পরও ভিতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ আসছিল না। তাতেই সন্দেহ হয় আত্মীয়দের। প্রথমে তাঁরা যোগাযোগ করেন বৃদ্ধের প্রতিবেশীদের সঙ্গে। খবর দেওয়া হয় খড়দহ থানাতেও। পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। আর তাতেই চক্ষু চড়কগাছ। ঘরের ভিতরে মেঝেতে পড়ে কুন্তলবাবুর দেহ। কীভাবে বৃদ্ধের মৃত্যু হল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।
বাড়ির ভিতরে যেখানে কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহ পড়ে ছিল, সেই ঘরের ভিতরে রক্তের দাগ ছিল বলে পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। যদিও এক প্রতিবেশীর দাবি, ওটি ফিনাইল জাতীয় কিছু ছিল। তবে বাড়ির ভিতরে রক্তের দাগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে খড়দহ থানার পুলিশ। কীভাবে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হল, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। কুন্তলবাবুর আত্মীয় বলছেন, বৃদ্ধ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ওই আত্মীয়ের অনুমান হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। যদিও সব দিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। খুন নাকি আত্মহত্যা, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সোদপুরের অমরাবতী এলাকায়। এলাকাবাসীরা বলছেন, ওই বৃদ্ধ প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব বেশি মেলামেশা করতেন না। বাড়িতে একাই থাকতেন নিজের মতো। কী কারণে বৃদ্ধের মৃত্যু হল, সেই বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীদের মনেও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে।