উত্তর ২৪ পরগনা: পৌরসভা উপ নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত বনগাঁ। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধীপল্লিতে ধুন্ধুমার। বিজেপি কর্মীরা ‘চোর চোর’ স্লোগান তোলে। পাল্টা স্লোগান তোলেন তৃণমূল কর্মীরাও। বচসার পর হাতাহাতিতে জড়ান দুই দলের কর্মী সমর্থকরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে রিগিং-এর অভিযোগ। বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারকে হেনস্থা ও নিরাপত্তারক্ষীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদ সরব বিজেপি।
উপনির্বাচন ঘিরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বনগাঁ। বহিরাগতরা বুথের বাইরে ঘোরাফেরা করছে, এই অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। অশোক কীর্তনিয়াকে ঘিরে প্রথমে সাময়িক গোলমাল শুরু হয়। তিনি সকালে একটি বুথে গেলে, তাঁকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। যদিও অশোক কীর্তনিয়ার বক্তব্য, তিনি ওই বুথেরই ভোটার। তাই বুথে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই পরিস্থিতি সামলেও যায়। বনগাঁ পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তারপরের বেশ কিছু মোটের ওপর স্বাভাবিক ছিল পরিস্থিতি।
সকাল দশটার পর থেকে উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। গান্ধীপল্লির ঘটনা মারাত্মক আকার নেয়। বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বুথে গিয়েছিলেন। তাঁকে কেন্দ্র করেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। বিধায়ককে সঙ্গে রেখেই বিজেপি কর্মীরা ‘চোর চোর’ স্লোগান তুলতে থাকেন। পাল্টা স্লোগান দিলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে বিজেপি। দু’পক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়। দু’পক্ষের কর্মীরা একে অপরকে ধাক্কাও দিতে থাকেন। এক মহিলাকে মারধর করার ছবিও ধরা পড়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়।
এরপর দেহরক্ষী যখন স্বপন মজুমদারকে বার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তাঁর ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। তাঁকে কার্যত ধাক্কা দিতে দেখা যায়। দেহরক্ষীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। উল্লেখ্য, বনগাঁ উত্তর ও দক্ষিণ-দুটি কেন্দ্রেই বিজেপি বিধায়ক। তাঁরা বুথে গেলেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
প্রসঙ্গত, বনগাঁ পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচীত কাউন্সিলর দিলীপ দাসের মৃত্যু হয় পৌরসভা নির্বাচনের কিছুদিন পরেই। তাই তাঁর ওয়ার্ডে উপনির্বাচন। রবিবার বনগাঁ ও আসানসোল পৌরসভার দুটি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন। পুলিশি নিরাপত্তায় সকাল সাতটা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ পর্ব। প্রথম কয়েক ঘণ্টায় তেমন কোনও অশান্তি না হলেও, পরের দিকে দুটি কেন্দ্র থেকেই অশান্তির খবর আসতে থাকে।