BF killed GF: ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে সাড়া না দেওয়ায় মহিলাকে রাস্তা থেকে তুলে ঘৃণ্য কাজ প্রেমিকের

Ranjit Dhar | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Feb 20, 2023 | 1:02 PM

Extra Marital Affair: দমদম থানা এলাকার দুর্গানগরের বাসিন্দা মিহির মণ্ডলের সঙ্গে পশ্চিম রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা অঞ্জু দাসের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। বছর দেড়েক আগে দুজনের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিহিরে সঙ্গে এক বার পালিয়েও গিয়েছিলেন অঞ্জু।

BF killed GF: ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে সাড়া না দেওয়ায় মহিলাকে রাস্তা থেকে তুলে ঘৃণ্য কাজ প্রেমিকের
প্রতীকী ছবি

Follow Us

দমদম: প্রেম দিবসে কাছে পাননি ভালবাসার মানুষকে। এতেই প্রেমিকার উপরে ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন প্রেমিক। কিন্তু তার পরিণতি যে এত মর্মান্তিক হতে পারে, তা কল্পনা করাও কঠিন। অভিযোগ, প্রেমিকা দেখা করতে না চাওয়ায় রাস্তা থেকে তাঁকে নিজের বাড়িতে তুলে এনেছিলেন প্রেমিক। সেখানেই ওই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ভারী বস্তু দিয়ে মাথাতেও আঘাত করা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এই আঘাতের জেরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই মহিলা। সেখানেই দিন চারেক ভর্তি থাকার পর মৃত্যু হয় ওই মহিলার। এর পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দমদম থানার পুলিশ। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন মৃত মহিলার মেয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, দমদম থানা এলাকার দুর্গানগরের বাসিন্দা মিহির মণ্ডলের সঙ্গে পশ্চিম রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা অঞ্জু দাসের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। মিহির পেশায় গাড়ি চালক। বছর দেড়েক আগে দুজনের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিহিরে সঙ্গে পালিয়েও গিয়েছিলেন অঞ্জু। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়। যদিও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি তাঁরা। এ বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ৩৭ বছরের মিহিরের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হননি ৪২ বছরের অঞ্জু। সেই রাগেই অঞ্জুকে রাস্তা থেকে তুলেই মিহির নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন বলে অভিযোগ। সেখানেই দুজনের মধ্য বচসা শুরু হয়। সে সময়ই অঞ্জুকে মারধর ও ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে মিহিরের বিরুদ্ধে। অঞ্জুকে কোপানোর অভিযোগ মিহিরের বিরুদ্ধে তুলেছেন অঞ্জুর মেয়ে প্রিয়া দাস।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মিহির মণ্ডল অঞ্জু দাসকে মারার পর নিজেই অঞ্জু দাসকে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। এই অবস্থায় মিহির মণ্ডলের স্ত্রী অঞ্জু দাসের মেয়েকে ফোন করে তাঁর মায়ের খোঁজ নিতে বলেন। অঞ্জুর মেয়ে প্রিয়া খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁর মা। সেখানে গিয়েই প্রেম দিবসের ঘটা সমস্ত ঘটনা জানতে পারেন তিনি। চার দিন কোমায় থাকার পর ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে মৃত্যু হয় অঞ্জু দাসের। এর পরেই অভিযান চালিয়ে দমদম থানার পুলিশ রবিবার দুর্গানগর অঞ্চল থেকে অভিযুক্ত মিহির মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে দমদম থানার পুলিশ।

Next Article