বারাসত: সরকারি হাসপাতালেও ঘুষের (Bribery in government hospital) দেদার কারবার? অভিযোগ, ঘুষের টাকা দিতে না চাওয়ায় মহিলাকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ। কাঠগড়ায় ওয়ার্ড মাস্টার। এ ঘটনায় সরগরম বারাসত মেডিকেল কলেজ (Barasat Medical College Hospital) হাসপাতাল। বারাসত থানায় এফআইআর দায়ের বারাসত মেডিকেল কলেজের ওয়ার্ড মাস্টারের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে রোগীদের রান্নার দায়িত্বে রয়েছে সমবায় সমিতি। খাওয়ার সরবরাহ করে বসিরহাট মহিলা ফুট সাপ্লাই সমিতি। অভিযোগ, রান্নার বরাত পাওয়ায় প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা করে চান ওয়ার্ড মাস্টার। টাকা পেতে লাগাতার চাপও দেওয়া হয়।
কিন্তু, টাকা না দিলে কাজ বন্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। অভিযোগকারী মহিলা বলছেন, “উনি সাফ জানিয়েছিলেন মাসে ২০ হাজার টাকা করে না দিলে এখানে কাজ করা মুশকিল হবে।” প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে রান্না ঘরে ছিলেন সংস্থার ডিরেক্টর। রান্না ঘরে সেই সময় ঘোরাফেরা করছিলেন ওয়ার্ড মাস্টার পরিমল রাহা। অভিযোগ, ওয়ার্ড মাস্টারকে রান্না ঘর থেকে চলে যেতে বলায় তিনি ওই মহিলা তথা সংস্থার ডিরেক্টরের উপর চড়াও হন। ব্যাপক মারধর করা হয়।
অভিযোগকারী মহিলা আরও বলছেন, “আমি তো সামন্য কাজ করি। এত টাকা কোথা থেকে দেব! আমি ওই দিন রান্না ঘর থেকে ওনাকে চলে যেতে বললে আমাকে মারধর করেন। আমার হাতে খুব লেগেছে।” ঘটনার পরেই হাসপাতালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও তারপরেও ওয়ার্ড মাস্টারের হম্বিতম্বি কমার নয়। এ প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কোনও উত্তরই তিনি দিতে চাননি। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও বারাসত হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। উঠেছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। কিন্তু, কোনও এক জাদু বলে ওয়ার্ড মাস্টারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নাকি নেওয়া হয়নি। এবার ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ সামনে আসার পর কী পদক্ষেপ নেবে কর্তৃপক্ষ? হবে তদন্ত? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।