BSF: এই ব্যক্তির কাছ থেকে BSF কী পেয়েছে জানেন? চমকে উঠবেন

North 24 Pargana: পরদিন সকালে, প্রায় ৬টার দিকে, অ্যাম্বুশ দল এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ঘন বাঁশঝাড়ের আড়ালে লুকিয়ে চলাফেরা করতে দেখে। তাকে ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালানো হয়। তার কাছে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগ খুলে দেখা যায় ২০টি সোনার বিস্কুট লুকানো রয়েছে।

BSF: এই ব্যক্তির কাছ থেকে BSF কী পেয়েছে জানেন? চমকে উঠবেন
বড় সাফল্য BSF-এর Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 12, 2025 | 4:43 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে ফের বড় সাফল্য সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনস্ত ৩২তম ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা হোরান্দিপুর সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক ভারতীয় পাচারকারীকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০টি সোনার বিস্কুট, যার মোট ওজন ২৩৩২.৬৬ গ্রাম। আনুমানিক বাজারমূল্য ২ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা।

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ অক্টোবর রাতে হোরান্দিপুর বিওপিতে মোতায়েন জওয়ানদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে এই পাচারের। তাঁরা জানতে পারেন, মুসলিমপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে আনা সোনা পাচারের পরিকল্পনা করছে। খবর পেয়ে জওয়ানরা তৎক্ষণাৎ সতর্ক হয়ে যান। সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ অ্যাম্বুশ বসান।

পরদিন সকালে, প্রায় ৬টার দিকে, অ্যাম্বুশ দল এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ঘন বাঁশঝাড়ের আড়ালে লুকিয়ে চলাফেরা করতে দেখে। তাকে ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালানো হয়। তার কাছে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগ খুলে দেখা যায় ২০টি সোনার বিস্কুট লুকানো রয়েছে। সঙ্গে-সঙ্গে তাকে আটক করে হোরান্দিপুর বিওপিতে নিয়ে যাওয়া হয়।বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,উদ্ধার হওয়া সোনা ও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা ঘটনা সম্বন্ধে বলেন,”আমাদের জওয়ানদের সতর্কতা ও শক্তিশালী গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের ফলেই সীমান্তে এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান,সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে সোনা বা অন্য কোনও প্রকার চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য বিএসএফকে জানানো হয়। এর জন্য ‘সীমা সাথী’ হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯-এ ফোন করা যেতে পারে বা ৯৯০৩৪৭২২২৭ নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো যেতে পারে। যে বা যাঁরা সঠিক তথ্য দেবেন, তাঁদের উপযুক্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিএসএফ তাঁর পরিচয় গোপনও রাখবে।