Gold Smuggling: মলদ্বারের ভিতরে লুকানো এক ডজন সোনার বিস্কুট, পাচারের আগেই ধরে ফেলল BSF
BSF in Basirhat: সাইকেলে চেপে চেকপোস্টের দিকে আসছিল মইনুর খান নামে ওই ব্যক্তি। তার বাড়ি সীমান্তবর্তী মাঝেরপাড়া এলাকায়। তাঁর চালচলন দেখে সন্দেহ হয় সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের।
বসিরহাট: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত (India-Bangladesh Border) দিয়ে সোনা পাচারের বড়সড় ছক বানচাল করল সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)। একেবারে অভিনব পন্থায় সোনা পাচারের (Gold Smuggling) চেষ্টা চলছিল। মলদ্বারের ভিতরে সোনার বিস্কুট লুকিয়ে পাচারের ছক বানিয়েছিল এক পাচারকারী। কিন্তু সীমান্তপার করার আগেই তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন বিএসএফ-এর ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের স্বরূপনগর থানা এলাকার ভারত-বাংলাদেশ হাকিমপুর চেকপোস্টে। সাইকেলে চেপে চেকপোস্টের দিকে আসছিল মইনুর খান নামে ওই ব্যক্তি। তার বাড়ি সীমান্তবর্তী মাঝেরপাড়া এলাকায়। তাঁর চালচলন দেখে সন্দেহ হয় সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের।
এরপর তাঁকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন বিএসএফ জওয়ানরা। উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় সন্দেহ আরও বাড়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। এরপর তাঁকে তল্লাশি করতেই ওই ব্যক্তির মলদ্বারের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে সোনার বিস্কুট। সব মিলিয়ে মোট ১২টি সোনার বিস্কুট বেরোয় তার মলদ্বারের ভিতর থেকে। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটগুলির মোট ওজন ১ কেজি ৩৯৭ গ্রাম, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৮৭ লাখ টাকা। সোনা পাচারের চেষ্টার এমন অভিনব পন্থায় তাজ্জব কর্তব্যরত জওয়ানরাও। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রাথমিক অনুমান, ওই ব্যক্তি সোনার বিস্কুটগুলি সীমান্ত দিয়ে পাচারের চেষ্টা করছিল। পাচারকারী সন্দেহে ধৃত ওই ব্যক্তিকে আটক করে বিএসএফ। পরবর্তী সময়ে উদ্ধার হওয়া ১২টি সোনার বিস্কুল ও ওই পাচারকারী সন্দেহে ধৃত ব্যক্তিকে তেঁতুলিয়ায় শুল্ক দফতরের অফিসারদের হাতে তুলে দেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা।
এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে তেঁতুলিয়ায় শুল্ক দফতরের অফিসাররা। পাশাপাশি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের অফিসাররাও। বিশেষ করে এই সোনা কোথা থেকে আনা হয়েছে, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, এই ঘটনার সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনও সোনা পাচার চক্রের বড় গ্যাং জড়িত রয়েছে কি না, সেই সব বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।