Kamarhati: ডায়ারিয়া নয়, কামারহাটিতে কলেরা থেকেই সংক্রমণ বৃদ্ধি, বলছে নাইসেডের প্রাথমিক রিপোর্ট

কামারহাটিতে কলেরার জীবাণু থেকে সংক্রমণ বলছে নাইসেড।

Kamarhati: ডায়ারিয়া নয়, কামারহাটিতে কলেরা থেকেই সংক্রমণ বৃদ্ধি, বলছে নাইসেডের প্রাথমিক রিপোর্ট
আক্রান্ত রোগী, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Sep 09, 2021 | 5:17 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: কামারহাটিতে কলেরার কোপ! ডায়ারিয়া নয়, কলেরার (Cholera) জীবাণু বৃদ্ধির ফলেই সংক্রমণ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। ইঙ্গিত নাইসেডের প্রাথমিক রিপোর্টে। মোট ৯ জনের নমুনা পাঠানো হয় নাইসেডে। তারপরেই এই তথ্য় উঠে আসে নাইসেডের হাতে। জল থেকেই সংক্রমণ বলে জানা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার কামারহাটির নানা স্থানে ক্যাম্প করেন স্বাস্থ্য় দফতরের আধিকারিকরা। সব দিক খতিয়ে দেখার পর তাঁরা প্রাথমিকভাবে দাবি করেন জল থেকেই মূলত কলেরার জীবাণু ছড়িয়েছে। গত মঙ্গলবার, কামারহাটির ১,২,৩,৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আচমকা ডায়ারিয়ার সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। সংক্রমণের জেরে ৬৮ জন সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁদের মধ্যে আশঙ্কাজনক ৬ জন। ২জনের মৃত্যুও হয়। পরে স্বাস্থ্য় দফতর জানায়, ডায়ারিয়া নয়, কিডনি কাজ না করায় ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

সেপ্টেম্বরের গোড়া থেকে কামারহাটিতে জলবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায় বলেই দাবি করেন স্থানীয়রা। কামারহাটি অঞ্চলের ১ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন বেশিরভাগ শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার সকাল থেকেও সাগর দত্ত হাসপাতালে অন্তত ২০ জন আসেন ডায়ারিয়ার উপসর্গ নিয়ে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বেশির ভাগেরই পেটে ব্যাথা, বমির মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।

জানা গিয়েছে, মোট ৪ জনের একই উপসর্গে মৃত্যু হওয়ায় ডায়ারিয়া বলেই সন্দেহ করা হয়েছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডায়ারিয়াতে দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে কামারহাটিতে। বাকি দুই মৃত্যুর সঙ্গে এই রোগের কোনও যোগ নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। একটি বিবৃতি জারি করে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, দু’টি মৃত্যু ডায়ারিয়ার কারণে হয়েছে। তবে আরও যে দু’টি মৃত্যু হয়েছে তার সঙ্গে ডায়ারিয়ার যোগ নেই। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, বুধবার পর্যন্ত সুডার রিপোর্ট অনুযায়ী, কামারহাটিতে ডায়ারিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ১৬০ জন। সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ৭৬ জন। কামারহাটি ইএস‌আইয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪০ জন।

যদিও, নাইসেডের নয়া রিপোর্টে ডায়ারিয়ার বদলে কলেরার জীবাণু পাওয়া গিয়েছে বলে বৃহস্পতিবারই জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কামারহাটির এ হেন পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার একটি বিবৃতি জারি করেন স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। তিনি জানান, জেলা প্রশাসন ও পুরসভার কর্মীদের এ নিয়ে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা সবরকম খোঁজ খবর নিচ্ছে। প্রয়োজনীয় পরামর্শ থেকে প্রাথমিক পথ্য, ওআরএসের প্যাকেট দেওয়া হচ্ছে। জলের রিজারভারগুলি পরিষ্কারের পাশাপাশি এলাকায় স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। সকাল ছ’টা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত মেডিক্যাল অফিসার, প্যারামেডিক্যাল কর্মীরা এলাকায় থেকে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।

আগেই কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র জানিয়েছিলেন, “কামারহাটিতে স্বাস্থ্যদফতরের নির্দেশে বিশেষজ্ঞ দল পৌঁছেছে। আমাদের দলের স্বেচ্ছাসেবকরা তৈরি রয়েছেন। আমার বাড়ির ল্যান্ডলাইন নম্বর হেল্পলাইন হিসেবে খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক মুহূর্তে আমাদের দলের কর্মীরা কাজ করছেন। আশা করছি দ্রুত এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।” আরও পড়ুন: পৌরসভায় গুপ্ত কক্ষ, ৬ফুটের আলমারি, জানেনই না পুরপ্রশাসক, শ্যাম-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য!