
বনগাঁ: এসআইআর-র আবহে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের উদ্যোগে কার্ড দেওয়া নিয়ে এবার সরব হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠাকুরবাড়িতে ক্যাম্প করে দুটি কার্ড দেওয়া হয়েছে। একটি মতুয়া কার্ড ও অন্যটি হিন্দুত্বের কার্ড। এর জন্য ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। টাকা নিয়ে কার্ড দেওয়ার নিন্দা করে মঙ্গলবার বনগাঁয় তৃণমূলের সভা থেকে বিজেপিকে নিশানা করলেন মমতা। কারও নাম না করে তিনি বলেন, টাকা নিয়ে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন।
এদিন বনগাঁর সভা থেকে মমতা বলেন, “ধর্মের নামে যারা ১০০ টাকা করে নিয়ে ফর্ম বিক্রি করল। আপনাকে বাংলাদেশি প্রমাণিত করে দিল। এবং ক্যা (CAA) শংসাপত্র দেবে বলে ক্যাম্প করে আরও ৮০০ টাকা নিল। তাদের কেউ কেউ নাকি এখন দেশে নেই। বিদেশে ঘুরতে গিয়েছে। কেন বিদেশে চলে গিয়েছে, তার পিছনে একটা বিশাল রহস্য রয়েছে। রহস্যটা আমি জানি। তৃণমূলের কেউ কিছু না করলেও তাকে জেলে ঢুকিয়ে দাও। আর বিজেপির মন্ত্রী চুরি করলেও তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দাও। দ্বিচারিতা। কেন পালিয়েছে? তার কারণ নিজেকে রক্ষা করার জন্য। যতই সেভ করার চেষ্টা করুন, রেকর্ড আমরা পেয়ে গিয়েছি। কেউ যদি অন্যায় করে, তার গ্রেফতারের দাবি তুলব।”
মতুয়াদের বার্তা দিয়ে মমতা আরও বলেন, “মতুয়া মহাসভার নামে নিশ্চয়ই ধর্মীয় কার্ড নিতে পারেন। কিন্তু, ১০০ টাকা নিয়ে লিখতে হল, মতুয়া মহাসংঘের সদস্য করা হল। আর বলছে, এটা নিয়ে গেলেই আপনি ভোটার হয়ে যাবেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় এটা কোথাও লেখা রয়েছে? আগে লিখতে বলুন। আপনাদের প্রতারণা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি লিখছে, এই শংসাপত্র যাকে দেওয়া হচ্ছে, তিনি আগে বাংলাদেশি ছিলেন। মানে, আপনাকে এখন সার্টিফিকেট দিয়ে বাংলাদেশি প্রমাণ করে দিচ্ছে। এতে তো আপনাদের আরও ক্ষতি করছে।” এই কার্ড কারা কিনেছেন, তাও উপস্থিত মানুষের কাছে জানতে চান মমতা। এই লেখার ভবিষ্যৎ কী হতে পারে, সেটাই তিনি জানাচ্ছেন বলে মতুয়াদের বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মমতার অভিযোগ নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “বিজেপি যেটা করে, মানুষকে নিয়ে করে। মানুষকে জানিয়ে করে। আর তৃণমূল কংগ্রেস শিক্ষকপদ বাজারে ঢেলে বিক্রি করেছে।”