গারুলিয়া: এক সপ্তাহে চার-চারটি বড় ধর্ষণের ঘটনা। যার জেরে নারী নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু এরপরও কমেনি নির্যাতন। বোলপুর, ভাঙর, বসিরহাট থেকে লাগাতার ধর্ষণ, শ্লীনতাহানির খবর প্রকাশ্যে আসে। এরপর সেখানে সংযোজিত হল উত্তর ২৪ পরগনার গারুলিয়ার নাম। বাড়ির ভিতর ঢুকে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে দুই সাধু।
উত্তর ২৪ পরগনার গারুলিয়া। দীর্ঘদিন ধরেই এক পরিবারে আসত সাধুবাবা। বাড়িতে ঢুকে বিভিন্ন মন্ত্রপাঠও করত সে। সূত্রের খবর, ওই পরিবারের ভালো-মন্দের কথা শুনিয়ে রীতিমত বিশ্বাসও অর্জন করেছল অভিযুক্ত ব্যক্তি।
এরপর, শনিবার কলেজ ছাত্রীর হাত দেখতে চায় ওই সাধু। তার সঙ্গে ছিল আরও এক সহযোগী। অভিযোগ, হাত দেখার পর মেয়েটির মাকে সে জানায়, ন’হাজার টাকা দিলে নাকি ভবিষ্যত ফিরে যাবে। সাধুর কথার উপর ভরসা রেখে মেয়েটির মা বাইরে বের হয় টাকা জোগাড়ের জন্য। অভিযোগ, সেই সময় মেয়েটির হাত দেখতে-দেখতে ওই সাধু কলেজ ছাত্রীকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করে। তাঁর গোপন অঙ্গেও হাত দেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। পরে নির্যাতিতা চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় উপস্থিত হন। এলাকায় আসে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। অভিযুক্ত দুই সাধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বস্তুত, গতকাল রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থেকে নারী নির্যাতনের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, রাতের খাবার খাওয়ার পর বাথরুমে গিয়েছিলেন মহিলা। সেখান থেকে মুখ চেপে মহিলাকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্ত মহিলার ভাসুরপো। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের কাশীপুর থানা এলাকায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri Snake Recover: সুইচ অন করতে গিয়ে সাক্ষাৎ ‘যমদূতের’ মুখোমুখি সরকার পরিবার…