AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Snatching Case: আলাপ জমিয়ে টাকা ছিনতাই, দম্পতির কেরামতিতে ঘুম ছুটেছিল পুলিশের

Crime news: কীভাবে চলত এই ছিনতাইয়ের কারবার? পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, যখন কোনও বয়স্ক ব্যক্তি টাকা নিয়ে একা একা রাস্তা দিয়ে ফিরতেন, সেই সময় টোপ ফেলত ছিনতাইবাজ দম্পতি।

Snatching Case: আলাপ জমিয়ে টাকা ছিনতাই, দম্পতির কেরামতিতে ঘুম ছুটেছিল পুলিশের
গ্রেফতার ছিনতাইবাজ দম্পতি
| Edited By: | Updated on: Feb 11, 2023 | 12:01 AM
Share

নিউ ব্যারাকপুর: দীর্ঘদিন ধরে সোদপুর, নৈহাটি, মধ্যমগ্রাম, নিউ ব্যারাকপুর, খড়দহ, জেঠিয়া এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা (Snatching Case) চিন্তা বাড়াচ্ছিল আমজনতার। পুলিশ সূত্রে খবর, মূলত বয়স্ক লোকেদের টার্গেট করা হত। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে ফেরার সময় বা অন্য কোনও জায়গা থেকে টাকা নিয়ে যখন কোনও বয়স্ক ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে একা একা ফিরতেন, তখনই তাঁদের টার্গেট করা হত। আর এই কাজ করত এক ছিনতাইবাজ দম্পতি। স্বামী আকবর আলি ও স্ত্রী রাকিয়া বিবি। এবার তাদের গ্রেফতার করল নিউ ব্যারাকপুর (New Barrackpore) থানার পুলিশ। রহড়া থানার অন্তর্গত ঈশ্বরীপুর এলাকা থেকে ওই ছিনতাইবাজ দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কীভাবে চলত এই ছিনতাইয়ের কারবার? পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, যখন কোনও বয়স্ক ব্যক্তি টাকা নিয়ে একা একা রাস্তা দিয়ে ফিরতেন, সেই সময় টোপ ফেলত ছিনতাইবাজ দম্পতি। ভাল ভাবে কথা বলে, আলাপ জমিয়ে তারপর তাঁদের থেকে টাকা-পয়সা ছিনতাই করে চম্পট দিত এই দম্পতি। সঙ্গে থাকত একটি স্কুটি। ফলে ছিনতাই করার পর নিমেষে এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে পারত তারা।

এতদিনে সোদপুর, নৈহাটি, মধ্যমগ্রাম, নিউ ব্যারাকপুর, খড়দহ, জেঠিয়া সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু মানুষের টাকা ছিনতাই করা হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে লাখ লাখ টাকা ছিনতাই করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় সাধারণ নাগরিকদের জন্য কার্যত ত্রাস হয়ে উঠেছিল এই দম্পতি। তবে এবার আকবর আলি ও স্ত্রী রাকিয়া বিবিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের থেকে ৩৯ হাজার টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে এবং ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহার করা স্কুটিও বাজেয়াপ্ত করেছে নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ধৃতদের জেরা শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। এই ছিনতাইচক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তার সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা।