CRPF: আটক হয়ে গেলেন CRPF জওয়ান
Bangaon: শিয়ালদহ বনগাঁ শাখার বামনগাছি রেল স্টেশনে বহিরাগতদের নিয়ে এসে মদ্যপান করছিলেন বলে অভিযোগ এসকে মজুমদার নামে আরপিএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। সেই সময় নাইট গার্ডের ডিউটিতে ছিলেন বামনগাছিরই বাসিন্দা সুব্রত রায়।

বনগাঁ: রাতের বেলা পাহারা দিচ্ছিলেন নাইটগার্ডরা। বাজারে চুরি-ছিনতাই এইসব রুখতেই পালা-পালা করে গার্ড দেন তারা। অভিযোগ, সেই সময় এলাকায় মদ্যপান করছিলেন এক সিআরপিএফ জওয়ান। প্রতিবাদ করায় নাইটগার্ডকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল ওই জওয়ানের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আটক অভিযুক্ত।
কী ঘটেছে?
শিয়ালদহ বনগাঁ শাখার বামনগাছি রেল স্টেশনে বহিরাগতদের নিয়ে এসে মদ্যপান করছিলেন বলে অভিযোগ এসকে মজুমদার নামে আরপিএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। সেই সময় নাইট গার্ডের ডিউটিতে ছিলেন বামনগাছিরই বাসিন্দা সুব্রত রায়। তিনি ওই জওয়ানকে মদ্যপান করতে দেখতে পাওয়া মাত্রই প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, সেই ঘটনার প্রতিবাদ করায় সুব্রতকে মারধর করেন এসকে মজুমদার। সুব্রতর আর্তনাদ শুনতে পেয়ে তৎক্ষণাত এলাকায় আসেন বাকি নাইট গার্ডরা। তাঁরাও সমস্বরে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন।
অভিযোগ পেয়ে বারাসাত থেকে আরপিএফ-এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভোর রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। আটক করা হয় মদ্যপ অবস্থায় কর্মরত আরপিএফ জওয়ান এবং তার সঙ্গে আরও তিন সঙ্গীকে। কর্তব্যরত নাইটগার্ডরা জানান, কয়েকজন আরপিএফ জওয়ানের এই ধরনের আচরণের জন্য গোটা আরপিএফ ফোর্সের বদনাম হয়ে যাচ্ছে। তাই এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এরকম ঘটনা ঘটিয়ে ফোর্সের বদনাম না করতে পারে।
সুব্রতবাবু বলেন, “গতকাল রাতে আমরা রাতে পাহারা দিচ্ছিলাম। একজন আরপিএফ লোকাল ছেলেদের নিয়ে এসে প্রায়শই মদ্যপান করেন। শনিবারও সেই কাজ করছিল। আমি এসে প্রতিবাদ করি। তখন আমায় গালিগালাজ করে। আমায় মারধর করে। তারপর বাকি নাইট গার্ডরা এসে প্রতিবাদ করতে আরও চড়াও হয়। তারপর আরপিএফ-এর ম্যাডাম এসে ওকে ধরে নিয়ে যায়।”

