
উত্তর ২৪ পরগনা: বাংলার সীমান্ত এলাকাগুলিতে জমেছে ভিড়। কখনও হাকিমপুর, কখনও বা বসিরহাট। দেশ ছাড়ছে একের পর এক পরিবার। কেউ কেউ বলছেন, তাঁরা দেশ ছাড়ছেন নয়, দেশেই ফিরছেন। ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের ঘোষণার পর থেকেই বাংলাদেশে ফিরেছেন অনেকে, এমনটাই অভিযোগ। ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে বেড়েছে তাঁদের আনাগোনা। কিন্তু এতদিন দেশে কী করছিল তাঁরা? কেউ কেউ ভিসা নিয়ে ঘুরতে এলেও একটা বড় অংশ অনুপ্রবেশকারী বলেই অভিযোগ। চোরা পথে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড বানিয়েই বাংলার সীমান্ত এলাকাগুলিতে থাকে তাঁরা।
কিন্তু অনুপ্রবেশ ঘটছেই বা কীভাবে? খোঁজ রাখে না সীমান্তরক্ষীরা? খোঁজ রাখে না স্থানীয় প্রশাসন? বিজেপির অভিযোগ, এই অনুপ্রবেশকারীদের ‘আশ্রয়দাতা’ রাজ্যের শাসক শিবির। শুক্রবার খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাম না করে মমতাকে আক্রমণের সুরে বলেছেন, ‘কেউ কেউ অনুপ্রবেশকারীদের সুরক্ষা প্রদান করছেন।’ তবে সেই শাহের দলের সৈনিকের সুর একটু ভিন্ন। অনুপ্রবেশকারীদের দায় সামান্য় হলেও বিএসএফ-র রয়েছে বলে মত তাঁর।
বৃহস্পতিবার স্বরূপনগরে গিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাংলাদেশিদের চোরা-প্রবেশ নিয়ে দেশের সীমান্তরক্ষীদেরও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘পুলিশ-বিএসএফ পয়সার জন্য করছে। জনসাধারণও পয়সার জন্য এঁদের ঢুকতে দিচ্ছে। কিন্তু রাজ্য় সরকার যদি না চায়, কড়াকড়ি করে, তা হলে কীভাবে ঢুকবে?’
দিলীপ ঘোষের আরও অভিযোগ, ‘সরকার যদি না চায় বাংলাদেশিরা ঢুকতে পারে না। এতদিন কাঁটাতার লাগাতে দেয়নি। বামেরাও দেয়নি, এরাও দেয়নি। এখন কাজ চলছে। কিন্তু দেরি তো অনেকটাই হয়েছে।’ এসআইআর নিয়ে তৈরি হওয়া আতঙ্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন দিলীপ। তাঁর দাবি, ‘সারা দেশে এসআইআর চলছে, সেখানে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বাংলায় যেন মড়ক লেগেছে। পট-পট লোক মরে যাচ্ছে।’