Baguiati: রোগীমৃত্যুর জের, বেসরকারি হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ পরিজনদের
Baguiati: গত শনিবার বছর পঁয়তাল্লিশের এক সরকারি বাসের কনডাক্টর তরুণ কুমার রায় বুকে ব্যথা নিয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন।
বাগুইআটি: রোগীমৃত্যুকে (Patient Death) কেন্দ্র করে উত্তজনা। বেসরকারি হাসপাতালে (Private Hospital) বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর পরিবারের লোকজন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাগুইআটি থানার পুলিশ।
গত শনিবার বছর পঁয়তাল্লিশের এক সরকারি বাসের কনডাক্টর তরুণ কুমার রায় বুকে ব্যথা নিয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর চিকিৎসা করেন সত্যজিৎ সামন্ত নামে এক চিকিৎসক। এর আগে তিনি ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে সেখান থেকে ওই বেসরাকারি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। আজকে রোগীর বুকে প্রেসমেকার বসানোর কথা ছিল। সেই মতো সার্জারি রুমে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ দিকে, পরিবারের অভিযোগ যে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ওই রোগীর চিকিৎসা চলছিল সেই চিকিৎসক ছুটিতে। হাসপাতালে তাঁদের কিছু না জানিয়েই অন্য চিকিৎসক দিয়ে সার্জারি করায়। এমনকী যে মৃত্যুর শংসাপত্র তাঁদের দেওয়া হয়েছে সেখানে চিকিৎসকের কোনও স্বাক্ষর নেই। যদিও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, শল্য চিকিৎসার কক্ষে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই রোগীর।
মৃতের পরিবারের এক সদস্য বলেন, “হাসপাতাল থেকে বলা হচ্ছে তাৎক্ষণিক প্রেসমেকার বসছে। আবার বলছে মেডিক্যাল দল চিকিৎসা করছে। অথচ যে চিকিৎসকের আন্ডারে তাঁর চিকিৎসা চলছিল তিনি বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই অনুপস্থিত। তাহলে কার অনুমতিতে অন্য কেউ রোগীর চিকিৎসা করলেন?”
মৃতের পরিজনদের অভিযোগ নিয়ে ওই হাসপাতালের CEO ঈপ্সিতা কুণ্ডু বলেন, “যে চিকিৎসকের অধীনে রোগী ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁর নির্দেশেই চিকিৎসা চলছিল। আজ অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করার আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হন রোগী। তখন জরুরি পদক্ষেপ করা হয়। সেইসময় কোনও চিকিৎসক আসবেন কি না, তার জন্য অপেক্ষা করা যায় না। বাড়ির লোককে সবটাই জানানো হয়েছে।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি ছিল না। দুর্ভাগ্যবশত রোগীকে বাঁচানো যায়নি।”