Sundarban: অঝোর বৃষ্টিতে বসল বাঁধ, সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা প্রহর গুনছেন
Sundarban: রূপমারি গ্রামে এই গৌড়েশ্বর নদীর বাঁধ বসে গিয়ে জল ঢুকছে এলাকায়। তাছাড়াও ৮০ থেকে ১০০ ফুট ফাটল ধরেছে বাঁধে। নদীর প্রবল জলোচ্ছ্বাস ও ঝোড়ো হাওয়ায় যে কোন মুহূর্তে কাঁচা বাঁধের মাটি চলে যাবে নদীর গর্ভে।
বসিরহাট: টানা বৃষ্টির জের,সুন্দরবনে গৌড়েশ্বর নদীর ৩০০ ফুট এলাকা জুড়ে বাঁধ বসে গিয়েছে। বহু জায়গায় বাঁধে ফাটল, আতঙ্কিত সুন্দরবনবাসী। বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের রূপমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের রূপমারি গ্রামে গৌড়েশ্বর নদীর বাঁধ বসে গিয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে সুন্দরবন-সহ উপকূলীয় এলাকা জুড়ে চলছে অঝোরে বর্ষা। আর সেই বর্ষায় মাটি নরম হয়ে নদীর বাঁধ বসে গিয়ে গ্রামে ঢুকছে জল। ক্ষতি হচ্ছে ধানক্ষেত ও মাছের পুকুর থেকে বাড়ি-ঘরও।
রূপমারি গ্রামে এই গৌড়েশ্বর নদীর বাঁধ বসে গিয়ে জল ঢুকছে এলাকায়। তাছাড়াও ৮০ থেকে ১০০ ফুট ফাটল ধরেছে বাঁধে। নদীর প্রবল জলোচ্ছ্বাস ও ঝোড়ো হাওয়ায় যে কোন মুহূর্তে কাঁচা বাঁধের মাটি চলে যাবে নদীর গর্ভে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রূপমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাবিত্রী সিংহ ও উপপ্রধান তপন মণ্ডল।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, যে কোনও সময়ে বড় ধরনের বিপদ ঘটে যেতে পারে। তাঁরা খুব আতঙ্কে আছেন। হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ সুরজিত বর্মন বলেন, “এলাকার কয়েকটি নদী বাঁধে এরকম সমস্যা হচ্ছে। পঞ্চায়েতকে সঙ্গে নিয়ে হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে দ্রুত বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে।” তিনি জানান, নদী বাঁধের কাজের বরাদ্দ টাকা আটকে রয়েছে। যার কারণে বহু জায়গায় নদী বাঁধের কাজ আটকে রয়েছে বলে দাবি তাঁর।