রাজারহাট: মঙ্গলবার জয়নগরে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ও সিপিএম-এর প্রতিনিধি দলকে। পুলিশের সঙ্গে দফায়-দফায় বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়রা। কার্যত ধস্তাধস্তি বেধে যায়। এই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য, আরও উস্কানোর জন্যই ঘটনাস্থলে গিয়েছেন বিরোধী দলের লোকজন।
রাজারহাটের নারায়ণপুরে কালীপুজোর অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখান থেকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে জয়নগরের ঘটনা নিয়ে বলেন, “যদি কেউ গিয়ে ওখানে উস্কানোর চেষ্টা করে, ওখানে যদি কেউ গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাঙার চেষ্টা করে পুলিশ কেই তো সামলাতে হবে। ওরাতো ছবি তোলার জন্য যান। কিন্তু কাজটা তো পুলিশ কেই করতে হবে। খুনিদের ধরতে হবে পুলিশকে। ওনারা গিয়ে কী করবেন?”
উল্লেখ্য, গত সোমবার জয়নগরে তৃণমূল নেতা মৃত্যু ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে। শাসক দলের নেতাদের দাবি এই ঘটনায় যোগ রয়েছে সিপিএম-এর। একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গতকাল ঘরছাড়াদের দেখতে সেখানে পৌঁছয় বাম প্রতিনিধি দল। সেই সময় বাধার মুখে পড়তে হয় সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়দের।