Brigade Parade Ground: ফোন এল মমতাবালার! ‘বানচাল’ ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে হরিনামের স্বপ্ন

Hari Naam in Brigade Parade Ground: কিন্তু আচমকা স্থগিত করার কারণ কী? নান্টু হালদারের কথায়, 'মায়ের এখন রাজ্যসভা রয়েছে। সেখানেও এসআইআর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। তাই আপাতত এই উদ্যোগ স্থগিত করা হল।' এই লক্ষ কণ্ঠে হরিনাম সংকীর্তনের কথা ঘোষণা করে বেজায় প্যাঁচে পড়েছে ওই গোসাই পরিষদের সভাপতি।

Brigade Parade Ground: ফোন এল মমতাবালার! বানচাল ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে হরিনামের স্বপ্ন
বাঁদিকে নান্টু হালদার, ডানদিকে মমতাবালা ঠাকুরImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Dec 13, 2025 | 12:37 PM

ঠাকুরনগর: ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে হরিনামের ‘স্বপ্ন’ আপাতত বানচাল। সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতাবালাপন্থী অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের গোসাই পরিষদের সভাপতি নান্টু হালদার বলেছিলেন, ‘অরাজনৈতিক ভাবে লক্ষ কণ্ঠে হরিনাম সংকীর্তন হবে। মমতাবালা ঠাকুরও থাকবেন।’ কিন্তু এই নিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ মমতাবালাকে প্রশ্ন করা হতেই সবটাই উড়িয়ে দিলেন তিনি।

সাংসদের কথায়, ‘আমি শুনেছি, কিন্তু এই নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও আলোচনা হয়নি। উনি হয়তো ব্য়ক্তিগত ভাবেই প্রস্তাব দিয়েছেন।’ এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ ফোন ঢোকে গোসাই পরিষদের সভাপতির কাছে। স্থগিত হয়ে যায় ব্রিগেডের মাঠের লক্ষ কণ্ঠে হরিনাম সংকীর্তনের উদ্য়োগ। এদিন নান্টু হালদার বলেন, ‘মা (মমতাবালা ঠাকুর) আজকে আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি আমাকে বলেন, আপাতত এই পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে। তবে উনি যখন আমাদের বলবেন, আমরা তখন আবার দিনক্ষণ ঠিক করে জানিয়ে দেব।’

কিন্তু আচমকা স্থগিত করার কারণ কী? নান্টু হালদারের কথায়, ‘মায়ের এখন রাজ্যসভা রয়েছে। সেখানেও এসআইআর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। তাই আপাতত এই উদ্যোগ স্থগিত করা হল।’ এই লক্ষ কণ্ঠে হরিনাম সংকীর্তনের কথা ঘোষণা করে বেজায় প্যাঁচে পড়েছে ওই গোসাই পরিষদের সভাপতি। সূত্রের খবর, মতুয়া মহাসঙ্ঘের অন্দরে তাঁর পদ নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা। কেউ কেউ বলছেন, ওনাকে হয়তো পদ থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে। যদিও সেই সব দাবিকে ‘অপপ্রচার’ বলে উল্লেখ করেছেন নান্টু হালদার।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এসআইআর নিয়ে অস্বস্তি বেড়েছে মতুয়াদের মধ্যে। বাংলায় ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন শুরুর পরেই শুধুমাত্র সিএএ আবেদনপত্রের ভিত্তিতে মতুয়াদের তালিকায় জায়গা করে দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আপাতত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে প্রথমে নাগরিকত্ব, তারপর ভোটাধিকার। যার জেরে একাধারে যেমন অস্বস্তিতে পড়েছেন মতুয়ারা। তেমনই ভোটের আগে অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপিরও।