উত্তর ২৪ পরগনা: পাশের বাড়িতেই থাকেন ‘মেসোমশাই’। বাড়ির একটাই পাঁচিল। দুই পরিবারের সম্পর্কও ভালো। রান্নাবান্না হলে সেই ‘মেসোমশাই’কে বাটি করে খাবার দিয়েও আসতেন বউমা। কোনওদিনও তাঁর আচরণে কোনও অস্বাভাবিকত্ব দেখেননি তিনি কখনও। কিন্তু তাঁরই ‘লালসার শিকার’ হলেন তিনি। বাড়ি ফাঁকার থাকার সুযোগে ঘরে ঢুকেছিলেন। গৃহবধূর তাতেও সন্দেহ হয়নি। ঘরে ঢুকে বসিয়েওছিলেন বছর পঞ্চান্নর প্রৌঢ়। কথাবার্তা বলছিলেন। তখনই ‘বউমা’র হাতটা চেপে ধরেন তিনি। এরপর তাঁকে ধর্ষণ করেন। গোটা নির্যাতিতার বক্তব্য। বসিরহাটের হাসনাবাদে আরও এক ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বছর পঁয়ত্রিশের ওই গৃহবধূর স্বামী কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ই এপ্রিল। সেদিন ছিল রবিবার। গৃহবধূ বাড়িতে একাই ছিলেন। তাঁর বক্তব্য, ওই প্রৌঢ় তাঁর বাড়িতে আসেন। কথার ফাঁকেই ওই বৃদ্ধ তাঁর ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
বিষয়টি কাউকে জানালে তাঁকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। শেষে সোমবার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। তাঁর বক্তব্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে ওই প্রৌঢ়ের সঙ্গে পরিচয় ছিল নির্যাতিতার। অভিযুক্তকে মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। তাকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ।
নির্যাতিতা বলছেন, “কোনও দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি, এমনটা হতে পারে। আমি প্রথমে ভয়ে কাউকেই কিছু জানাতে পারিনি। পরে সাহস জুগিয়ে থানায় যাই। অপরাধীর শাস্তি চাই।” অভিযুক্তের অবশ্য কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।