Sandeshkhali: ‘স্বামী লুকিয়ে, সন্তানের মুখে ভাত তুলে দিতে পারিনি’, এখনও চোখেমুখে আতঙ্ক বেড়মজুরের ফুলমণির
Sandeshkhali: শাহজাহানের নামে কোনও অভিযোগই নেই বলে দাবি করেছেন সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। এদিনই পার্থর সঙ্গে সন্দেশখালির নানা প্রান্ত ঘুরে দেখছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও। তাঁদের এ মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।

সন্দেশখালি: পায়ের উপর দিয়ে চলে গিয়েছিল পুলিশের গাড়ি। স্বামী লুকিয়ে, সন্তানের মুখে ভাত তুলে দিতে পারেননি। ক্ষোভে ফুঁসছেন বেড়মজুরের ফুলমণি ভুঁইঞা। টিভি-৯ বাংলায় বললেন, স্বামী পলাতক, সকাল থেকে দুই বাচ্চার মুখে ভাত তুলে দিতে পারিনি। প্রসঙ্গত, শুক্রবার দফায় দফায় তপ্ত হয়ে ওঠে বেড়মজুর। গ্রামবাসীদের আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ ওঠে গোটা এলাকা। শেখ শাহজাহান থেকে তাঁর ভাই সিরাজউদ্দিনের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে গোটা গ্রাম। আন্দোলন থামাতে না পেরে এই গ্রামেরই বাসিন্দা ফুলমণি ভুঁইঞার পায়ের উপর দিয়ে পুলিশ গাড়ি চালিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। বর্তমানে কোনওমতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছেন লাঠি নিয়ে। স্ত্রীর দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্বামী ঘর ছাড়তেই তাঁকেও ধরে পুলিশ। অভিযোগ এমনটাই।
এদিকে শাহজাহানের নামে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগই নেই বলে দাবি করেছেন সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। এদিনই পার্থর সঙ্গে সন্দেশখালির নানা প্রান্ত ঘুরে দেখছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও। কিন্তু মন্ত্রীদের সামনেই তো সরব হচ্ছেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ করছেন। কিন্তু, তাও শুনতে পারছেন না তাঁরা? প্রশ্ন ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিকে কাটপোল এলাকায় পুলিশ অভিযোগ কেন্দ্র খুললেও অভিযোগ জানাতে আসার ক্ষমতাটুকু হারিয়ে ফেলেছেন বেড়মজুরের ফুলমণি ভুঁইঞা। চোখেমুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। বলছেন, “রাতে ওরা ৮-১০ বার আসছে। স্বামীকে খুঁজছে। পুলিশ তো আসছেই। গুন্ডাবাহিনী আসছে। বাড়ি ভাঙচুর করতে চেয়েছিল ওরা। এসে শুধু বলছে দরজা খোলো। আমি একা মহিলা থাকি। থানায় যেতে পারছি না। রান্নাও করতে পারছি না। মুড়ি খেয়ে আছি। আমার বাচ্চারা পাশে বাড়িতে খাবে হয়তো। আমার অ্য়াক্সিডেন্টের কথা শুনে আমার স্বামী যেতেই ওর নামে কেস দিয়ে দিয়েছে।”





