Murder : কবর থেকে মাকে তুলে বাবার ফাঁসি চাইলেন ছেলে

Murder : স্ত্রীকে খুন করে খাল পাড়ে পুঁতে রেখেছিল স্বামী, মায়ের দেহ উদ্ধার হতেই বাবার ফাঁসির দাবি ছেলের।

Murder : কবর থেকে মাকে তুলে বাবার ফাঁসি চাইলেন ছেলে
মায়ের দেহ উদ্ধার হতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল ছেলে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 27, 2023 | 4:23 PM

অশোকনগর : স্ত্রীকে খুন (Murder News) করে খাল পাড়ে পুঁতে রেখেছিল স্বামী। অবশেষে পুলিশের (Police) জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি। ঘটনাস্থল থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতদেহ উদ্ধার করল অশোকনগর থানার পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর ভাতশালা এলাকায় থাকতেন মঞ্জিরা বিবি। সুখ ছিল না পরিবারে। সূত্রের খবর, নানা কারণে তাঁর স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা লেগে থাকত তাঁর। প্রায় ৭ বছর আগে স্বামীর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাতেই আরও বাড়ে অশান্তি। পরিবারিক সমস্যার কারণেই গত পাঁচ বছর ধরে ছেলেকে নিয়ে অন্যত্র থাকতেও শুরু করেন ওই মহিলা। এরইমধ্যে পুলিশের কাছে জানানো অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করে তাঁর স্বামী জিয়াবুল হক। চলতি মাসের ২২ তারিখ ফোন করেন স্ত্রীকে। ডেকে নেন নিজের কাছে। অভিযোগ, তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি মঞ্জিরা বিবির। 

অশোকনগর থানায় হয় নিখোঁজ ডায়রি। তদন্ত নেমে অশোকনগর থানার পুলিশ জিয়াবুল, তাঁর এক বন্ধু ও তাঁর মাকে গ্রেফতার করে। শুরুতে কিছু না বললেও শেষে চাপের মুখে পড়ে স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় জিয়াবুল। পুলিশি জেরায় জানায় মঞ্জিরা বিবিকে খুন করে বিদ্যাধুরি খালের পাশে এক নির্জন জায়গায় মাটি চাপা দিয়ে রেখেছে। এদিকে বিদ্যাধুরি খাল এলাকায় মাটি তোলার কাজ চলছে। সেই মাটির তলেই চাপা পড়ে গিয়েছে সেই মৃতদেহ। তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পারে পুলিশ। ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় অভিযুক্তকে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাটি খুঁড়ে তোলা হয় মৃতদেহ। এদিকে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হতেই এলাকায় জমতে শুরু করে কৌতূহলী জনতার ভিড়। ব্যাপক চাঞ্চল্যও ছড়ায় গোটা এলাকায়।

জল-কাদার মধ্যে মায়ের দেহ উদ্ধার হতে শোকে পাথর মঞ্জিরা বিবির ছেলেও। কাঁদতে কাঁদতেই অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করেন তিনি। ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমার বাবা সম্প্রতি অন্য এক মহিলাকে বিয়েও করেছিল। এরইমধ্যে বুধবার শরীর খারাপের অজুহাত দেখিয়ে মাকে ডেকে নেয়। মাকে বলে তুই আয়। আমি যাকে বিয়ে করেছি তাঁকে ছেড়ে দেব। বাবার ডাকে মা একাই সেখানে যায়। তারপর থেকে আর মায়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা জোর খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু, কোথাও খোঁজ মেলেনি। এদিকে আচমকা শুনি বাবা হাসপাতালে ভর্তি। আমি সেখানেও যাই। সেখানেও মাকে দেখতে পায়নি। দেখি বাবার নতুন বউ দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারপরই থানায় জানাই আমি। আমার মায়ের সঙ্গে যাঁরা এটা করল তাঁদের যেন ফাঁসি দেওয়া হয়।”