
বনগাঁ: বাংলাদেশে তুঙ্গে উঠেছে ভারত বিরোধিতা। ইতিমধ্যেই ভারতের উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যকে (সেভেন সিস্টার্স) ভারতের থেকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের এক NCP নেতা। তা নিয়ে চাপানউতোরের মধ্য়ে হিন্দু যুবক দীপু দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আরও মুখ পুড়েছে বাংলাদেশের। এপার বাংলাতেও উঠেছে হিন্দোল। একদিন আগেই বাংলাদেশের উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে তোপের পর তোপ দাগতে দেখা গিয়েছিল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তীব্র কটাক্ষবাণ শানিয়ে বাংলাদেশকে তুলনা করেছিলেন ছোট পিঁপড়ের সঙ্গে। শুভেন্দুর দাবি অপারেশন সিঁদুরের সময়কার দু একটা ড্রোন ছেড়ে দিলেই ওদের দাপাদাপি বন্ধ হয়ে যাবে। এবার বাংলাদেশের নেতাদের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে করা মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গেল বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। সুর চড়ালেন বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়াও।
বুধবার সনাতনী ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের দিপু দাসের হত্যার প্রতিবাদে জয়ন্তীপুর বাজার থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেখানেই হাজির ছিলেন অশোক, অসীমরা। সেখান থেকেই বাংলাদেশের উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অশোক কীর্তনিয়া বলেন, ইউনূসকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই আমরা এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমরা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিন্দুরা বাংলাদেশের সনাতন হিন্দুদের পাশে আছি। সেই বার্তাই দিতে চাইছি।
অন্যদিকে সুর চড়াতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারকেও। তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, “যেভাবে পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে সেভাবে বাংলাদেশেও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করুক ভারত সরকার। দরকারে বাংলাদেশকে ভারতের সঙ্গে নিয়ে সেখানকার উগ্রপন্থীদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিক।” অন্যদিকে সেভেন সিস্টার্স দখল প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কুজোরও কিন্তু চিৎ হয়ে শোওয়ার ইচ্ছা হয়। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের এখনই উচিৎ আর বারাবারি করতে না দেওয়া। এখনই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা দরকার।”
এদিকে পেট্রাপোলে বিক্ষোভ কর্মসূচির জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি বিএসএফ জওয়ান। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকেও স্পেশ্যাল ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।