Suicide: শিক্ষকের ফোনে অন্তরঙ্গ ছবি, বসিরহাটে উদ্ধার বছর আঠারোর ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ
Suicide: মৃত ছাত্রী বাংলা নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এবারেই ভর্তি হয়েছিলেন স্নাতকের প্রথমবর্ষে। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন ঘটনার শেষ ফোনটা এসেছিল গৃহশিক্ষকের কাছ থেকেই।
স্বরূপনগর: সকালে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করলেও খোলেনি দরজা। শেষে একপ্রকার বাধ্য হয়েই দরজা ভেঙে ফেলা হয়। ঘরে ঢুকেই চোখ কপালে উঠল পরিবারের সদস্যদের। দেখা যায় সিলিং থেকে গলায় দড়ি লাগিয়ে ঝুলছে তাঁদের মেয়ে। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। খবর যায় পুলিশ। পুলিশ এসে বছর আঠারোর ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এদিন এ ঘটনা ঘটেছে বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বাঁকড়া-গোকুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট বাঁকড়া গ্রামে। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
মৃত ছাত্রী বাংলা নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এবারেই ভর্তি হয়েছিলেন স্নাতকের প্রথমবর্ষে। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন ঘটনার শেষ ফোনটা এসেছিল গৃহশিক্ষকের কাছ থেকেই। তাতেই ওই ছাত্রী ও শিক্ষকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু, কী নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। সূত্রের খবর, পড়াশোনার সূত্র ধরেই ওই গৃহশিক্ষকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তরুণীর। তারপর দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। প্রায়শই দু’জনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ফোনেও কথা হত বলে জানাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। ওই শিক্ষকের কাছে ছাত্রীর বেশ কিছু অন্তরঙ্গ মূহূর্তের ছবিও আছে বলে জানা যাচ্ছে।
শেষ ফোনে ওই শিক্ষক ছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়ে ছিলেন বলেও অভিযোগ। অন্তরঙ্গ মূহূর্তের ছবি নিয়ে তাঁদের মধ্যে কোনও ঝামেলা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে স্বরূপনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত ছাত্রীর পরিবার। কড়া শাস্তিরও দাবি উঠেছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ। তাঁর বাড়ি ওই গৃহ শিক্ষকের বাড়ি বাদুড়িয়া থানা এলাকায়। এদিনই ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।