ভোট লুঠ করতে এলে হাত কেটে নেওয়ার নিদান ISF নেতার, ‘ধমক’ নওশাদের
ISF leader: এ মন্তব্যের জন্য ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদের সমালোচনারও মুখেও পড়েন। তাতেই চাপে পড়ে সাফাইও গাইতে দেখা গেল বিশ্বজিৎকে।

মধ্যমগ্রাম: হাতে আর মাত্র কটা দিন। যে কোনও মুহূর্তে ঘোষণা হয়ে যাবে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট। একদম শেষ মুহূর্তের প্রচার চালাচ্ছে শাসক থেকে বিরোধী সবপক্ষই। তপ্ত বাংলার মাটি। রোজই নানা প্রান্তের রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে ধেয়ে আসছে নরম-গরম স্লোগান। কখনও কখনও বিতর্কের মুখেও পড়ছেন সেই সমস্ত নেতারা। এবার রীতিমতো রুদ্র মেজাজে হাত কেটে নেওয়ার নিদান দিতে দেখা গেল আইএসএফ (ISF) রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতিকে। যা নিয়ে জোর শোরগোল জেলার রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে দেদার ভোট লুঠের অভিযোগ উঠেছিল।
এবারে পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসতেই সেই ভোট লুঠের চর্চা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। কখনও বিজেপি, কখনও সিপিআইএম, তো কখনও বিজেপি, ভোট লুঠের বিরুদ্ধে সরব সব বিরোধীরাই। এবার তাঁদের সকলকে ছাপিয়ে মধ্যমগ্রাম এক প্রকাশ্য সভায় ইএসএফ রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতিকে বলতে শোনা গেল কেউ ভোট লুঠ করতে এলে তার হাত কেটে নেওয়া হোক। যখন তিনি এ কথা বলছেন তথনও মঞ্চে হাজির ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
এ মন্তব্যের জন্য ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদের সমালোচনারও মুখেও পড়েন। তাতেই চাপে পড়ে সাফাইও গাইতে দেখা গেল বিশ্বজিৎকে। দলের অস্বস্তি বেড়েছে সেটা আঁচ করতে পেরেই বলেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হাত কাটার কথা বলেছি। তৃণমূলের ভোট লুট করার প্রক্রিয়াকে যাতে আটকানো যায় সে জন্যই এটা বলেছি।” এ প্রসঙ্গে নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, “হিংসা আমরা পছন্দ করি না। কিন্তু ভোট লুঠ করতে এলে যাতে তাদের জেলের মধ্যে রাখা যায় সে ব্যবস্থা আমরা করব।” তোপ দেগেছে শাসক তৃণমূল। মধ্যমগ্রাম তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন সভাপতি সুভাষ ব্যানার্জি বলেন, “রাজনৈতিক মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় শালীনতা বজায় রাখা উচিত। ওদের শালীনতা বলে রিছু নেই বলেই এমন মন্তব্য করেছেন।”
