জগদ্দল : চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক ব্যক্তি। আচমকা তাঁকে পিছন থেকে টেনে নিয়ে রাস্তায় ফেললেন বেশ কয়েকজন। তারপরই সাদা টি শার্ট পরা এক ব্যক্তিকে দেখা গেল বন্দুক হাতে এগিয়ে আসতে। রাস্তায় শুইয়ে ফেলা ব্যক্তিকে লক্ষ্যে করে গুলি চালালেন ওই যুবক। যেন দক্ষিণী ছবির দৃশ্য! তবে এমন ঘটনার সঙ্গে পরিচিতি রয়েছে ওই এলাকার মানুষের। কারণ বোমা পড়া বা গুলি চালানো ওই অঞ্চলে নিত্যদিনের ঘটনা বলে দাবি করেছেন এলাকার মানুষ। শুক্রবার সন্ধ্যার ওই ভয়াবহ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে TV9 বাংলার হাতে।
ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। শুক্রবারের এই ঘটনার পর থমথমে জগদ্দল। আর সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই শনিবার সকালে ফের বোমার আওয়াজ শোনা গেল এলাকায়। জগদ্দল থানা থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ। সকাল থেকে দোকান খুলতে পারেননি এলাকার ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এমন ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই চলতে থাকে। পুলিশকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাঁদের দাবি, পুলিশই তাঁদের দোকান বন্ধ রাখতে বলে গিয়েছে। কিন্তু, দোকান যে কবে খোলা সম্ভব হবে, তা বলতে পারছেন না কেউ।
এই প্রসঙ্গে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং জানান, বোমাবাজির ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবগত। এ ব্যাপারে পুলিশকে তিনি সব জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন সাংসদ। তাঁর মতে, পুলিশি নজরদারি আরও বাড়াতে হবে এলাকায়। তবে শুক্রবারের খুনের ঘটনাকে ‘পাতাখোরদেকর গণ্ডগোল’ বলে দাবি করেছেন তিনি।
এ দিকে, রাজ্য প্রশাসন ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন বিজেপি। অর্জুন সি-এর মন্তব্য শুনে বিজেপি নেতা সমিক ভট্টাচার্য মনে করিয়ে দিয়েছেন, অর্জুন বিজেপিতে থাকাকালীন এমন সব ঘটনায় পুলিশের দিকে আঙুল তুলতেন। সেই অর্জুন কী ভাবে ‘পাতাখোরদেকর গণ্ডগোল’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘শুধু জগদ্দল নয়। গোটা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর অবস্থায় আছে। তার মধ্যে জগদ্দল ভাটপাড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকার অবস্থা আরও খারাপ।’
জগদ্দল : চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক ব্যক্তি। আচমকা তাঁকে পিছন থেকে টেনে নিয়ে রাস্তায় ফেললেন বেশ কয়েকজন। তারপরই সাদা টি শার্ট পরা এক ব্যক্তিকে দেখা গেল বন্দুক হাতে এগিয়ে আসতে। রাস্তায় শুইয়ে ফেলা ব্যক্তিকে লক্ষ্যে করে গুলি চালালেন ওই যুবক। যেন দক্ষিণী ছবির দৃশ্য! তবে এমন ঘটনার সঙ্গে পরিচিতি রয়েছে ওই এলাকার মানুষের। কারণ বোমা পড়া বা গুলি চালানো ওই অঞ্চলে নিত্যদিনের ঘটনা বলে দাবি করেছেন এলাকার মানুষ। শুক্রবার সন্ধ্যার ওই ভয়াবহ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে TV9 বাংলার হাতে।
ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। শুক্রবারের এই ঘটনার পর থমথমে জগদ্দল। আর সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই শনিবার সকালে ফের বোমার আওয়াজ শোনা গেল এলাকায়। জগদ্দল থানা থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ। সকাল থেকে দোকান খুলতে পারেননি এলাকার ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এমন ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই চলতে থাকে। পুলিশকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাঁদের দাবি, পুলিশই তাঁদের দোকান বন্ধ রাখতে বলে গিয়েছে। কিন্তু, দোকান যে কবে খোলা সম্ভব হবে, তা বলতে পারছেন না কেউ।
এই প্রসঙ্গে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং জানান, বোমাবাজির ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবগত। এ ব্যাপারে পুলিশকে তিনি সব জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন সাংসদ। তাঁর মতে, পুলিশি নজরদারি আরও বাড়াতে হবে এলাকায়। তবে শুক্রবারের খুনের ঘটনাকে ‘পাতাখোরদেকর গণ্ডগোল’ বলে দাবি করেছেন তিনি।
এ দিকে, রাজ্য প্রশাসন ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন বিজেপি। অর্জুন সি-এর মন্তব্য শুনে বিজেপি নেতা সমিক ভট্টাচার্য মনে করিয়ে দিয়েছেন, অর্জুন বিজেপিতে থাকাকালীন এমন সব ঘটনায় পুলিশের দিকে আঙুল তুলতেন। সেই অর্জুন কী ভাবে ‘পাতাখোরদেকর গণ্ডগোল’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘শুধু জগদ্দল নয়। গোটা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর অবস্থায় আছে। তার মধ্যে জগদ্দল ভাটপাড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকার অবস্থা আরও খারাপ।’