RG Kar Incident News: আইন হাতে তুলে নেব! হুঁশিয়ারি তিলোত্তমার মায়ের, বাবা বললেন, ‘অনেকের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে’
RG Kar Victim Parents: পাশাপাশি, এই ঘটনার সঙ্গে একা সাজাপ্রাপ্ত আসামী সঞ্জয় রায় ছাড়াও আরও অনেকেই রয়েছে বলেই দাবি নির্যাতিতার বাবার। এমনকি, একজন মহিলাও জড়িত রয়েছে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি। এদিন তিলোত্তমার বাবা বলেন, 'এখানে অনেকেই জড়িত রয়েছে। ডিএনএ রিপোর্টে সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএ, সঙ্গে আরও ছয়টি পুরুষের ডিএনএ রয়েছে। আমরা জানি, তাঁরা কারা, কিন্তু সিবিআইকে তদন্ত করতে হবে।'

কলকাতা: বিচারের বাণী কাঁদে নিভৃতে। তাই উচিত শিক্ষা দিতে আইন হাতে তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি তিলোত্তমা বাবা-মায়ের। আরজি কর ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার সাজা ঘোষণার পরেও বিচার ‘সম্পূর্ণ হয়নি’ বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। প্রৌঢ় দম্পত্তির বরাবরের দাবি, এক নয়, এই অপরাধের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি জড়িত। অবশ্য সেই নিয়ে এখনও মামলা চলছে। এবার এই আবহে আইন হাতে তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিলোত্তমার মা। পাশাপাশি, মেয়ের অপমৃত্য়ুর বিচার ছিনিয়ে আনবেন বলেই দাবি তাঁর।
সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত অঞ্চলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। সেখান থেকে আরজি কর তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় নির্যাতিতার বাবাকে। তিনি বলেন, ‘শিয়ালদহ আদালতে যে সমস্ত সওয়াল-জবাব হয়, পরের দিন সেই মর্মে রায়ের কপি হাতে আসে, কিন্তু সিবিআই সেগুলিকে বরাবর পাত্তা দেয় না। হাইকোর্টে সাত মাস মামলার চলার পর তা ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। মামলা গৃহীত হয়েছে। শুনানি শুরু হয়নি। শুরু হলে সিবিআইকে সব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।’ কিন্তু কোন প্রশ্ন?
নির্যাতিতার বাবার কথায়, আদালতে দাঁড়িয়ে সিবিআইয়ের প্রতিনিধিরা বলেছিলেন, তাঁরা কোনও ‘স্পেসিফিক ইনভেস্টিগেশন’ করেননি। কিন্তু কেন? সেই মর্মেই জবাব চাইবেন নির্যাতিতার বাবা। পাশাপাশি, এই ঘটনার সঙ্গে একা সাজাপ্রাপ্ত আসামী সঞ্জয় রায় ছাড়াও আরও অনেকেই রয়েছে বলেই দাবি তাঁর। এমনকি, একজন মহিলাও জড়িত রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এদিন তিলোত্তমার বাবা বলেন, ‘এখানে অনেকেই জড়িত রয়েছে। ডিএনএ রিপোর্টে সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএ, সঙ্গে আরও ছয়টি পুরুষের ডিএনএ রয়েছে। আমরা জানি, তাঁরা কারা, কিন্তু সিবিআইকে তদন্ত করতে হবে।’
অন্যদিকে প্রৌঢ়া বলেন, ‘ওখানকার দুর্নীতি সংক্রান্ত নানা তথ্য জেনে ফেলেছিল মেয়ে। ওঁ ভোর চারটে অবধি জেগে থাকত। সেই দিন কীভাবে ঘুমিয়ে পড়ল? সে ডিউটিরত অবস্থায় ঘুমোতে গিয়েছিল, এটা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। ওই রাতে আমার মেয়ের সঙ্গে যাঁরা কর্তব্যরত ছিলেন, তাঁদের ধরতে হবে। আরজি করের মতো হাসপাতালে একজন ঢুকে আমার মেয়েকে মেরে দিয়ে চলে গেল। এটা কেউ টের পেল না, এমনটা হতেই পারে না।’ তাঁর সংযোজন, ‘মেয়ের চোখ দিয়ে রক্ত বেরিয়েছে, জল নয়। বিচার আমরা ছিনিয়ে আনব। তাতে আইন হাতে তুলে নিতে হলে, তাই করব। কিন্তু বিচার আমরা চাই।’
