Juthika Roy: ‘ছোটদের হাতে মদ-বন্দুক ধরাচ্ছে’, সন্দেশখালির ‘অসুর বিনাশে’ যূথিকারাই এখন ‘দুর্গা’
Sandeshkahli Protest: সন্দেশখালির শাসকের অত্যাচারের একটি অজানা দিক তুলে ধরেছিলেন যূথিকা। জমি কেড়ে নেওয়া, নিগ্রহের পাশাপাশি শাসক তরুণ প্রজন্মকে কীভাবে শেষ করছে, সে বিষয়ে যূথিকা বলেছিলেন, “ছোট ছোট ছেলেদের ডেকে বলছে রাজনীতি করতে হবে। রাজনীতি না করলে ভাত পাবি না। এই সব বলে হাতে মদের বোতল আর বন্দুক ধরিয়ে দিচ্ছে। বলছে বাবাকে মার, মাকে মার।”
সন্দেশখালি: সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শাহজাহানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সেখানকার সাধারণ গ্রামাবাসীরা। দেওয়ালে পিঠ থেকতেই লাঠি, ঝাঁটা হাতে মহিলারা নেমেছিলেন শাসকদলের নেতার অত্যাচার থেকে মুক্তির খোঁজে। যে প্রতিবাদ নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। এই প্রতিবাদী মহিলাদের মধ্যেই এক জন হলেন যূথিকা রায়। সন্দেশখালির প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা যূথিকা স্নাতকোত্তর পাশ করলেও পাননি চাকরি। তাই বলে মাথা উঁচু করে বাঁচতে ভোলেননি তিনি। সন্দেশখালির গ্রামে গ্রামে টোটো চালিয়েই চলে তাঁর সংসার। বৃহস্পতিবার যে মিছিল থানার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল, সেখানে নেতৃত্ব দিতে দেথা গিয়েছিল যূথিকাকে। সেই মিছিল থেকেই তরুণ প্রজন্মকে কীভাবে শাসকদলের নেতারা ‘শেষ করে দিচ্ছে’, সেই অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
সন্দেশখালির শাসকের অত্যাচারের একটি অজানা দিক তুলে ধরেছিলেন যূথিকা। জমি কেড়ে নেওয়া, নিগ্রহের পাশাপাশি শাসক তরুণ প্রজন্মকে কীভাবে শেষ করছে, সে বিষয়ে যূথিকা বলেছিলেন, “ছোট ছোট ছেলেদের ডেকে বলছে রাজনীতি করতে হবে। রাজনীতি না করলে ভাত পাবি না। এই সব বলে হাতে মদের বোতল আর বন্দুক ধরিয়ে দিচ্ছে। বলছে বাবাকে মার, মাকে মার।”
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন যূথিকা। কিন্তু চাকরি মেলেনি। হাল ছাড়েননি তিনি। হাতে তুলে নিয়েছেন স্টিয়ারিং। টোটো এবং পরিবারের স্টিয়ারিং এখন যূথিকার হাতে। এই যূথিকাকেই গত পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল শাসকদল তৃণমূল। যে পদে টিকিট পাওয়ার জন্য রাজ্যে হিংসার ঘটনা কম ঘটেনি, তাই হেলায় ফিরিয়েছিলেন যূথিকা। কেন ফিরিয়েছিলেন তাও জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “কিছু তো একটা করছি। সেটা সৎপথে করছি। এটাই আমার কাছে বড় ব্যাপার।” সৎপথে যাপন যে আনন্দদায়ক, গর্বের, তাও জানিয়েছেন যূথিকা। এই সততার পাঠই এলাকার ছোটদের মধ্যে ছড়াতে চাইছেন যূথিকা। সেখান শিরদাঁড়া সোজা রেখে সৎভাবে বাঁচার মন্ত্র। তাইতো অনেক ভয় ও চাপের সামনেও হাসি মুখে লড়ে যাচ্ছেন যূথিকারা। অত্যাচারীর খড়্গকৃপাণকে রণভূমে পরাস্ত করতে যূথিকারাই এখন সন্দেশখালির ভরসা।