Kamduni Case: কামদুনিতে সেদিন কী হয়েছিল…
Kamduni: এমন ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা রাজ্য। এমন জান্তব পাশবিক ঘটনা বাংলার বুকে ঘটতে পারে, এখনও বিশ্বাস করতে ভয় পান অনেকেই। তবু বাস্তবে তা ঘটেছিল। রাজ্যের তরফে তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। সেই তদন্তের নিরিখে নগর দায়রা আদালত তিনজনকে ফাঁসির সাজা শোনায়।
উত্তর ২৪ পরগনা: ২০১৩ সালের ৭ জুন। কামদুনির ধর্ষণকাণ্ড তোলপাড় করেছিল গোটা রাজ্যকে। কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। সেদিন চেনা রাস্তা ধরেই কলেজ থেকে ফিরছিল ওই ছাত্রী। সেই সময় একদল যুবক তাকে প্রথমে গণধর্ষণ এবং পরে নৃশংসভাবে খুন করে।
কামদুনি গ্রামে ঢোকার রাস্তা। ঘটনার দিন সেই রাস্তা ধরেই হেঁটে বাড়ি ফিরছিল ওই ছাত্রী। গ্রামের ঢোকার মুখেই বিকৃত লোলুপ যুবকের দল প্রথমে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। পরিত্যক্ত একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়। গণধর্ষণের নৃশংসতাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল গণধর্ষণের পরের মুহূর্তগুলি।
অভিযোগ ওঠে, পুলিশ যাতে কোনওভাবেই এই ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণ করতে না পারে সে কারণে ওই ছাত্রীর দুই পা মাঝখান থেকে টেনে চিরে দেওয়া হয়। নাভি পর্যন্ত চিরে দেওয়া হয় সেই তরুণীর দেহ। এরপর ধারাল কিছু দিয়ে গলা কেটে ফেলে দেওয়া হয় পাশের মাঠে। সেদিনই রাতের দিকে দেহ উদ্ধার হয় তরুণীর।
এমন ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা রাজ্য। এমন জান্তব পাশবিক ঘটনা বাংলার বুকে ঘটতে পারে, এখনও বিশ্বাস করতে ভয় পান অনেকেই। তবু বাস্তবে তা ঘটেছিল। রাজ্যের তরফে তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। সেই তদন্তের নিরিখে নগর দায়রা আদালত তিনজনকে ফাঁসির সাজা শোনায়।
আজ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট ফাঁসির সাজা মকুব করে দিয়েছে। একজনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। বাকি দু’জন আমৃত্যু কারাবাস করবে। আরও তিনজনের মধ্যে একজন বেকসুর খালাস, দু’জন জরিমানা দিয়ে সাজামুক্ত হতে চলেছে। হাইকোর্টের এই নির্দেশ নিয়ে স্পেশাল লিভ পিটিশন (SLP) ফাইল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। এদিন রাতেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যাবে CID টিম। পরিবারের মত নিয়ে SLP-র জন্য সই সংগ্রহ করা হবে।