Khardha: খড়দহে বিধবা মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ, তৃণমূল যোগ? নির্যাতিতার বয়ানে কী বলছে শাসকদল?
Khardha: নির্যাতিতা বাড়িতে একাই ছিলেন। সোমবার রাতে তিনি কাজে বাইরে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, সে সময়ে চার জন তাঁকে টেনে আমবাগানের ভিতর নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সেখানেই তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

খড়দহ: খড়দহে বিধবা মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ। চার যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি দুজন পলাতক। কেস তুলে নিতে নির্যাতিতাকে পাল্টা চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। নির্যাতিতার অভিযোগ, এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী বলেই এলাকায় পরিচিত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা বাড়িতে একাই ছিলেন। সোমবার রাতে তিনি কাজে বাইরে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, সে সময়ে চার জন তাঁকে টেনে আমবাগানের ভিতর নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সেখানেই তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা আমবাগানের ভিতর থেকেই ওই মহিলাকে প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদে সোচ্চার গ্রামবাসীরা। এরপরই রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
নির্যাতিতার অভিযোগ, থানা থেকে কেস তুলে নেওয়ার জন্য অভিযুক্তরা বন্দুক হাতে তাঁকে শাসায়। রাতেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি দুজন পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
নির্যাতিতার বক্তব্য, “চার জন মিলে বলে আমাকে তোরা খুশি করো। আমার কাছে প্রথমে আমার মেয়েদের চায়। পরে চার জন মিলে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময়ে হুমকি দিয়ে যায়, যদি থানায় যায়, তাহলে ওরা আমার ছেলেকে মেরে দেবে। ওরা ক্রিমিন্যাল। ওরা টিএমসি পার্টির লোকের সঙ্গে রয়েছে।”
এই গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন পাতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সাফিয়ার রহমান। তিনি বলেন, “আমাদের এলাকায় এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও শোনা যায়নি। আমরা শিহরিত। পুলিশ দ্রুত বাকি অভিযুক্তদের খুঁজে বার করুক। সারা বাংলায় সবাই তৃণমূল করে। কে করে আর কে করে না, সেটা কথা নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা এই ধরনের কাজ করতে পারে না। তবে কেউ যদি তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থেকে এই ধরনের কাজ করে, তাহলে তার শাস্তি অবশ্যই হওয়া উচিত।”





