AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jute Mill: ‘বাথরুম-পায়খানায় যেতে দেয় না মালিকরা’, কাঁকিনাড়ায় বন্ধ হল জুটমিল

Jute Mill: প্রায় ২০ বছর ধরে নফরচন্দ জুটমিলে কাজ করছেন গোপালপ্রসাদ শর্মা। তিনি বলেন, "মেশিন চালানোই যায় না। এদিকে আমাদের ধাক্কা দিয়ে বলে তোমরা মেশিন চালাতে পার না। যাও এখান থেকে। বাইরে থেকে লোক এনে ৭০০ টাকা দিয়ে কাজ করায়। আর আমরা এখানে ২০ বছর ধরে কাজ করি, গলা ধাক্কা দিচ্ছে। বাথরুম, পায়খানা পর্যন্ত করতে যেতে দেয় না। বলে ছাড়ব না। ক্যান্টিনটা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে।"

Jute Mill: 'বাথরুম-পায়খানায় যেতে দেয় না মালিকরা', কাঁকিনাড়ায় বন্ধ হল জুটমিল
শ্রমিক অসন্তোষ। Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2023 | 7:09 PM
Share

ব্যারাকপুর: শ্রমিক অসন্তোষের জেরে বন্ধ হয়ে গেল কাঁকিনাড়ার জুটমিল। শনিবার বন্ধ হয়ে যায় ভাটপাড়া থানার কাঁকিনাড়া নফরচন্দ জুটমিল। প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক আছেন এখানে। শ্রমিকদের অভিযোগ, জুটমিল কর্তৃপক্ষ অমানবিক অত্যাচার চালায় কর্মীদের উপর। বাথরুম, পায়খানায় পর্যন্ত যেতে দিতে চায় না। তারই প্রতিবাদে সরব হন শ্রমিকরা। তাঁদের দাবি, কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে উৎপাদন বন্ধ থাকবে।

প্রায় ২০ বছর ধরে নফরচন্দ জুটমিলে কাজ করছেন গোপালপ্রসাদ শর্মা। তিনি বলেন, “মেশিন চালানোই যায় না। এদিকে আমাদের ধাক্কা দিয়ে বলে তোমরা মেশিন চালাতে পার না। যাও এখান থেকে। বাইরে থেকে লোক এনে ৭০০ টাকা দিয়ে কাজ করায়। আর আমরা এখানে ২০ বছর ধরে কাজ করি, গলা ধাক্কা দিচ্ছে। বাথরুম, পায়খানা পর্যন্ত করতে যেতে দেয় না। বলে ছাড়ব না। ক্যান্টিনটা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে।”

এরপরই শনিবার কর্মরত শ্রমিকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মিল চত্বরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করেন। প্রতিবাদে সরব হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ এসে হাজির হয় মিলচত্বরে। বিভিন্ন সময়েই শ্রমিক অসন্তোষের ছবি দেখা যায় ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জুটমিলে। কর্তৃপক্ষও তালা ঝুলিয়ে দেয় কারখানার গেটে। শ্রমিকদের অভিযোগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শ্রমিকস্বার্থ নিয়ে নানা সময় সরব হলেও দিনের শেষে কেউই তাঁদের চাল ডালের সংস্থান নিশ্চিত করে ওঠে না। এক শ্রমিকের কথায়, “মজুররা কাজ করেন। তাই ইজ্জতটা মজুরদের প্রাপ্য। সাহেবদের মাথায় তুলে নেচে লাভ নেই। মজুরদের সম্মান দিতে হবে।”