AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Khardha: ‘বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে মল-মূত্র’, প্রয়াত প্রাক্তন ডিএসপি কর্তার স্ত্রীকে ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য ‘চাপ’

Khardha: খড়দহ মুখার্জি রোডে এক আবাসনে বসবাস করেন জলি বিশ্বাস। জলি বিশ্বাসের স্বামী পেশায় প্রয়াত প্রাক্তন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ প্রদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস। গত ২০২০ তাঁর মৃত্যু হয়।

Khardha: 'বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে মল-মূত্র',  প্রয়াত প্রাক্তন ডিএসপি কর্তার স্ত্রীকে ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য 'চাপ'
প্রয়াত প্রাক্তন ডিএসপি কর্তার স্ত্রীImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2023 | 10:54 AM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা: খড়দহে প্রয়াত প্রাক্তন ডিএসপি পুলিশ আধিকারিকের স্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ। আতঙ্কে ঘরবন্দি মহিলা ও তাঁর মেয়ে। আবাসন কমিটির সদস্য প্রাণগোপাল সাহার দলবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। খড়দহ থানায় অভিযোগেই অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীতরা। তবে অভিযুক্তকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা এড়িয়ে যান।

খড়দহ মুখার্জি রোডে এক আবাসনে বসবাস করেন জলি বিশ্বাস। জলি বিশ্বাসের স্বামী পেশায় প্রয়াত প্রাক্তন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ প্রদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস। গত ২০২০ তাঁর মৃত্যু হয়। ২০১৮ সালে অবসর নেওয়ার সময় প্রদ্যুৎ বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে কর্মরত ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী ওই আবাসনে একাই থাকতেন। অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই আবাসনের কমিটির সদস্য প্রাণগোপাল সাহা ও তাঁর দলবল জলি বিশ্বাসকে ফ্ল্যাট বিক্রি করে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। জলি বিশ্বাস ফ্ল্যাট বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায়, শুরু হয় একের পর এক নিগ্রহ। অভিযোগ, ফ্ল্যাটের সামনে নোংরা আবর্জনা ফেলা রেখে যাওয়া হচ্ছে, প্রতিবাদ করায় তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

অভিযোগ, আবাসন কমিটির সদস্য প্রাণগোপাল সাহা প্রাক্তন পুলিশ কর্তার স্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। বর্তমানে আবাসনের কোনও বাসিন্দাই পুলিশ কর্তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন না। আতঙ্কে গৃহবন্দি রয়েছেন জলি।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই খড়দহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রাক্তন পুলিশ কর্তার স্ত্রী এইভাবে আতঙ্কে দিন কাটানোয়, আবাসনের বাকি বাসিন্দারাও সেভাবে ভয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। তাঁরা কোনও প্রতিক্রিয়াও দিতে চাইছেন না। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিশ। জলি বিশ্বাস বলেন, “আমি যাতে ঘরটা ছেড়ে দিই, তার জন্য রোজ রোজ হুমকি দিচ্ছে কমিটির সদস্যরা। কোনওরকমে ঘরে বন্দি হয়ে রয়েছি। আমি খুবই আতঙ্কিত। ঘরের বাইরে এসে মল মূত্র এসে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন রকমের নিগ্রহ চলছে। থানায় জানানো হয়েছে। এখন পুলিশের ওপরেই ভরসা।”