মছলন্দপুর: জুন মাসেই মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ। কিন্তু সেই পরীক্ষার রেজাল্ট বেরনোর আগেই বিপত্তি। আশানুরূপ ফল হবে না, সেই ভেবে সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই এলাকায়।
আগামী সপ্তাহে মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর কথা। তার আগে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরের সাদপুর এলাকায়। মৃত ছাত্রীর নাম বৃষ্টি পোদ্দার (১৬)। চলতি বছরে মছলন্দপুর ভূদেব স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক দিয়েছে সে।
বুধবার নিজের ঘরের পাখার সঙ্গে ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মেয়েটিকে ঝুলতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁকে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। আর সেই নোটে লেখা, ‘আমি প্রথম হতে পারব না, তাই পরিবারের সম্মান যাতে ধুলোয় মিশে না যায় নিজেকে আর বাঁচাতে পারলাম না।’ পুলিশ ওই সুইসাইড নোটটিও উদ্ধার করেছে।
মৃতার মা বলেন, ‘দুপুরবেলা খাওয়ার জন্য ডাকছিলাম। তখন দেখি মেয়ে সাড়া দিচ্ছে না। দরজা বন্ধ। ভিতর থেকে আটকানো। আমি দরজায় জোরে বাড়ি দিই। তখন দেখি মেয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। তারপর আমি লোক ডেকে নিয়ে আসি। দরজা ভেঙে মেয়েকে উদ্ধার করি। ও ভেবেছিল যে পাশ করতে পারবে না। আমার সঙ্গে এই বিষয়ে শেয়ার করেনি। ভেবেছে মা-বাবা বকবে। কাউকে মুখ দেখাতে পারবে না। সেই জন্যই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।’
বস্তুত, জুনের মধ্যেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হবে। সেই মোতাবেক উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দেয় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখবে সংসদ। কোভিড পরিস্থিতিতে প্রায় দুই বছর ধরে অনলাইন মাধ্যমেই ক্লাস চলেছে। ফলে পড়ুয়াদের অনেকের মধ্যেই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে একটি ভীতির ছবি দেখা দেখা গিয়েছিল। এরই মধ্যে হোম সেন্টারগুলিতেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এবার পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই বিশেষ বিবেচনা করে দেখছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।