দেগঙ্গা: মুখ্যমন্ত্রীর সভা। মঞ্চে বসে রয়েছেন সব সাংসদ, বিধায়কেরা। রয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামও। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই মমতা বললেন, ‘আমি কোনও ঝগড়া অ্যালাউ করব না।’ উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার সভায় গিয়ে বৃহস্পতিবার এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্জুন-সোমনাথ তরজায় গত কয়েকদিন ধরেই শিরোনামে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সেই আবহেই মমতার এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
উত্তর ২৪ পরগনায় জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মিসভা ছিল এদিন। বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বলেন, “লোকাল ঝগড়ার জন্য যদি কেউ বাড়িতে বসে থাকেন, তাহলে তাঁকে ডেকে আনুন। আমি কোনও ঝগড়া অ্যালাউ করব না।” তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি, দলের মধ্যে কোনও বড়-ছোট ফারাক থাকা উচিত নয়। দলীয় নেতাদের বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “কেউ যদি ভাবেন আমি বড় নেতা হয়ে গিয়েছি। দলকে না ভালবেসে নিজেকে ভালবাসব। সেটা করা যাবে না। তৃণমূল পরিবার মানুষের পরিবার, এটা মাথায় রাখতে হবে। আমি বড় তাই আর একজনকে পাত্তা দিলাম না, এটা করা যাবে না।” তিনি এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, “মানুষের দুর্দিনে যাঁরা পাশে থাকবেন তাঁরাই আসল নেতা।”
গত কয়েকদিনে অর্জুন সিং ও সোমনাথ শ্যাম কীভাবে একে অপরকে আক্রমণ করেছেন, তা গত কয়েকদিন চোখ এড়ায়নি কারও। একদিকে, খুনের ষড়যন্ত্রকারী বলে সাংসদকে আক্রমণ করেছেন বিধায়ক। পাল্টা আক্রমণ করতেও ছাড়েননি অর্জুন সিং। পরে সেই দ্বন্দ্বে রাশ টানতে আসরে নামে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি অর্জুন সিং-কে চুপ করে থাকার পরামর্শ দেন। অর্জুন নিজেই জানান সে কথা।
কয়েকদিন আগে একটি খুনের মামলায় গ্রেফতার হন সাংসদ অর্জুন সিং-এর ভাইপো পাপ্পু। এরপরই সাংসদ-বিধায়ক তরজা শুরু। পাপ্পুর সঙ্গে সঙ্গে অর্জুনকেও কাঠগড়াত তুলতে থাকেন বিধায়ক। এবার খোদ দলের সুপ্রিমো বার্তা দিলেন।