Madan Mitra : ‘কেমন আছে জিজ্ঞেস করা হয়নি’, শ্বেতা-সাক্ষাতের পর বললেন মদন
Madan Mitra : শুক্রবার কামারহাটি পুরসভায় এসেছিলেন মদন। সেখানেই শ্বেতার সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। বলেন কথাও।
কামারহাটি : নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই সামনে আসছে নিত্যনতুন তথ্য। ইডি-র (ED) জালে ধরা পড়ছেন একের পর এক রাঘববোয়াল। গ্রেফতার হয়েছেন অয়ন শীল (Ayan Sil)। এই অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী। সেই অয়নের বান্ধবী আবার শ্বেতা, যাঁর সম্পর্কেও একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে ইডি-র হাতে। অয়নের সঙ্গে অ্যাকাউন্ট, তাঁর প্রযোজনায় ছবিতে অভিনয়, বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে দিনযাপন- একাধিক তথ্য এসেছে শ্বেতার বিরুদ্ধে। এদিকে এই শ্বেতার হাত ধরে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে গিয়েছে কামারহাটি পুরসভার। কারণ এখানেই শ্বেতা। দুর্নীতিতে কামারহাটি পুরসভার নাম জড়াতেই অস্বস্তি বেড়েছিল কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra)। বলেছিলেন, “যে কোনও অফিসে নিয়োগ একটি পদ্ধতির মাধ্যমে হয়। সেখানে এই শ্বেতা চক্রবর্তী কে ঠিক মনে পড়ছে না। আসলে এই পৌরসভায় ১০০টি মেয়ে কাজ করেন। তাঁর মধ্যে কে শ্বেতা বুঝতে পারছি না।” তবে এবার সেই মদনকেই এদিন কথা বলতে দেখা গেল মদনকে।
শুক্রবার কামারহাটি পুরসভায় এসেছিলেন মদন। সেখানেই শ্বেতার সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। বলেন কথাও। কিন্তু ঠিক কী কথা হল? এ প্রশ্নের উত্তরে মদনের জবাব, “আজকে আমি এসেছিলাম চেয়ারম্যানের ঘরে। এখানে কাজ করে শ্বেতা চক্রবর্তী। সবাই বলল শ্বেতা বসে আছে। আমি দেখলাম আমাদের স্টাফেরা ওর চাকরি নিয়ে আতঙ্কিত। ভাবছেন চাকরি চলে যাবে। আমি ওকে জিজ্ঞাস করলাম আপনার নাম কী? বলল শ্বেতা। জিজ্ঞাস করলাম বাড়ি কোথায়? বলল নৈহাটি। এইটুকুই। দেখলাম বসে কাজ করছেন। আমি তো আসার সময় দেখলাম সকলে বসে কাজ করছেন হলঘরে। অনেকেরই সঙ্গেই কুশল বিমিয়ম করেছিলাম। বরং শ্বেতা কেমন আছে সেটা জিজ্ঞেস করা হয়নি।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে এই শ্বেতাই মুখোমুখি হয়েছিলেন টিভি-৯ বাংলার। সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করতে দেখা গিয়েছে শ্বেতাকে। অয়ন প্রসঙ্গ উঠতেই শ্বেতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “ওঁর (অয়নের) সঙ্গে আমি গ্রাম পঞ্চায়েতে চাকরি করতাম। সেই সূত্রে পরিচয়।” শ্বেতা চাকরি করতেন হুগলিতে। ২০১৭ সাল থেকে অয়নের সঙ্গে তাঁর পরিচয় বলে তিনি দাবি করেছেন। সেই সূত্রেই কিনেছিলেন ফ্ল্যাট। বলেন, “চুঁচুড়ায় আমি ওঁর কাছ থেকে ফ্ল্যাট কিনি। আমার কাছে চুক্তির কাগজপত্রও রয়েছে। ফ্ল্যাট কেনার সময়ে টাকাও দিই। সেই ফ্ল্যাটটা আমি রেজিস্ট্রি করিনি। কারণ সেখান থেকে পরবর্তীকালে আমি চলে আসি। যেহেতু আমি রেজিস্ট্রি করিনি, তাই সেই টাকা আমাকে ফেরত দেন। ৫৫ লক্ষ টাকা আমার অ্যাকাউন্টে ফেরত দেন।”