Mob Lynching Case: সামাজিক মাধ্যমে পাড়ার ছেলের ছবিতে হাসির ‘ইমোজি’, রাস্তায় যুবকের মর্মান্তিক পরিণতি

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 13, 2021 | 10:16 AM

Mob Lynching Case: যুবককে এলোপাথাড়ি মারধর করার অভিযোগ উঠল। সেই ভিডিয়ো হল ভাইরাল।

Mob Lynching Case: সামাজিক মাধ্যমে পাড়ার ছেলের ছবিতে হাসির ইমোজি, রাস্তায় যুবকের মর্মান্তিক পরিণতি
কামারহাটিতে আক্রান্ত যুবক (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

 উত্তর ২৪ পরগনা:  সোশ্যাল সাইটে পাশের এলাকার এক যুবকের ছবিতে মন্তব্য করার জের। রাস্তায় ফেলে পেটানোর হল যুবককে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে। আক্রান্ত যুবকের নাম ওমপ্রকাশ ঠাকুর আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। তাঁর ডান চোখে মারাত্মক ক্ষত তৈরি হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত ৯ ডিসেম্বর। সন্ধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে নিজের প্রোফাইল ঘাটছিলেন ওমপ্রকাশ। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়ন্ত সিং নামে  পাড়ারই এক যুবকের ছবির নীচে কিছু মন্তব্য করেন। আর সেটাই হল কাল।

নাইট গার্ডের কাজ করেন  ওমপ্রকাশ। সেদিন রাতে ফেসবুক ঘাটার পর খাওয়া দাওয়া সেরে নিজের কাজে যাচ্ছিলেন ওমপ্রকাশ। অভিযোগ, সেসময় আড়িয়াদহ পাঠবাড়ি লাইন এলাকার কাছে ওপ্রকাশের ওপর চড়াও হন বেশ কয়েকজন যুবক। পিছনে থেকে ধাক্কা দিয়ে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর লাঠি, বাঁশ, লোহার রড দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। চলতে থাকে এলোপাথাড়ি কিল-চড়-ঘুষি। এমনকি বন্দুকের বাঁট দিয়েও মারা হয় বলে অভিযোগ। পরে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে যাওয়ার পর অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

আকস্মিকতার ঘোর কাটিয়ে ওঠার পর ওমপ্রকাশ বুঝতে পারেন, অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই তাঁর পূর্ব পরিচিত। জয়ন্ত সিংয়ের ছবিতে মন্তব্য করার জন্যই তাঁকে মারধর করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওমপ্রকাশকে উদ্ধার করে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওমপ্রকাশের ডান দিকের চোখে এতটাই ক্ষত তৈরি হয়েছে, তা প্রায় বুজেই গিয়েছে। চিকিত্সকরা জানিয়েছে, ওই যুবকের চোখের অবস্থা ভাল নয়। তবে ওমপ্রকাশের জয়ন্তর ছবিতে ঠিক কী মন্তব্য করেছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বেলঘরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

আক্রান্ত ওমপ্রকাশ হাসপাতালের বেডে শুয়ে ঘটনার বিবরণ দেন। তিনি বলেন, “রাত দশটায় কাজে যাচ্ছিলাম। ১০.০৫ এর সময়ে জয়ন্তর লোক আমাকে মেরেছে। রাজু, মুকেশ, গুড্ডু, বাপ্পা, পাপ্পু আমাকে মেরেছে। এরপর গুলি করে খুনের হুমকি দিয়েছে। বলেছে ওদের সঙ্গে থাকতে হবে। আমাকে বন্দুক দিয়ে মেরেছে।”

ওমপ্রকাশের দাদা বলেন, “আমি তো বুঝতেই পারছি না কী হল! ছোট ভাই আমার। রাতে আমার ভাইয়ের ওপর চড়াও হয়। মার খেয়েছে সেই ভিডিয়োটা আমার কাছে আছে। রাস্তায় ফেলে মারছে, সেটাই ভিডিয়োতে ধরা পড়েছে।” ঘটনার পর থেকে পলাতক দুষ্কৃতীরা।

ওমপ্রকাশের বন্ধু বলেন, “সামাজিক মাধ্যমে রঞ্জিত-জয়ন্তের একটা স্ট্যাটাসে হাসির রিঅ্যাক্ট দিয়েছিল ওমপ্রকাশ। তারপরই ওকে হুমকি-শাসায় ওরা। ওমপ্রকাশ ক্ষমা চেয়ে নেয়। কিন্তু তারপরও রাতে হামলা করে। রাস্তায় ফেলে মারধর করে।”

আরও পড়ুন: Bansdroni Murder Case: ভাইয়ের বউয়ের প্রেমিকই ‘কালপ্রিট’! বাঁশদ্রোণীর যুবক খুনে রহস্যভেদ পুলিশের

Next Article